ভোলাঃ জেলার চরফ্যাশন উপজেলার পূর্ব ওমরাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল সীমাকে (২৪) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি খালেক মালতিয়া (৫৬)-কে বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন হাসপাতাল চত্বর থেকে পুলিশ গ্ৰেফতার করেছে।
জানা গেছে, চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ওমরাবাজ গ্রামে স্কুল শিক্ষিকা ও তার স্বজনদের ওপর হামলা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য আবদুল খালেক মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হন। পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে উপস্থিত হলে ফ্যানের বাতাসে মাথার ব্যান্ডেজ উড়ে যায়। এ সময় দেখা যায়, তার মাথায় কোনো ক্ষত নেই।
তিনি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আহত সীমা বেগম খালেক মালতিয়ার আপন বড় ভাইয়ের মেয়ে। দীর্ঘদিন যাবৎ উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে ঈদের রাতে খালেক মালতিয়া ও তার সহযোগীরা সীমা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দা বটি দিয়ে স্কুল শিক্ষিকা সীমা বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় ১৩ এপ্রিল সীমার বোন জান্নাতুল ফেসদাউস বাদী হয়ে আবদুল খালেক মালতিয়াসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে শশীভূষণ থানায় মামলা দায়ের করেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামুল হক বলেন, মামলার প্রধান আসামি আবদুল খালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.