এইমাত্র পাওয়া

রমজানের প্রথম দশকে যে দোয়া পড়বেন

নিউজ ডেস্ক।।

দোয়াও একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়া ছাড়া ইবাদত অস্পূর্ণ থাকে। যে কোনো সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রসুল সা. আমাদের দোয়া শিখিয়েছেন।

হযরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সা. শাবান মাসের শেষ দিন আমাদের মাঝে খতিব হিসেবে দাঁড়ালেন, বললেন (মাহে রমজান) এমন একটি মাস যার প্রথম ভাগ রহমাত, মধ্যবর্তী ভাগ মাগফেরাত বা ক্ষমা আর শেষ ভাগে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ রমজান মাসের ৩০ দিনের প্রথম ১০ দিন রহমতের, দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাতের এবং তৃতীয় ১০ দিন নাজাতের। (সহিহ ইবনে খুজাইমা ১৮৮৭)

হাদিস বিশারদগণ এই ‘রহমত’ শব্দের ব্যাখ্যা করে বলেছেন, মূলত রমজানের প্রথম দশ দিনের মধ্যে আল্লাহ তায়ালা মুমিন বান্দাদের মাঝে রহমত ও দয়া বণ্টন করতে থাকেন।

এই মাসে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়েছে। এই মাসে আমাদের প্রকাশ্য দুশমন বিতাড়িত শয়তানকে দয়াময় আল্লাহ লোহার শেকল দ্বারা বন্দি করে রাখেন। এই মাসে জান্নাতের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজা বন্ধ রাখা হয়। এটা অল্লাহর অফুরন্ত রহমতেরই প্রকাশ।

প্রথম দশকে আমরা কোরআনে বর্ণিত একটি দোয়া বেশি বেশি পাঠ করতে পারি। وَقُل رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ: ওয়া কুর রব্বিগফির ওয়ার হাম ওয়া আনতা খইরুর রহিমিন।

অর্থাৎ: আর বলুন, হে আমার রব! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আর আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সুরা মুমিনুন ১১৮)

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১২/০৩/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.