এইমাত্র পাওয়া

১২ ছাত্রীকে ধর্ষণে মাদ্রাসা শিক্ষক ৫ দিনের রিমান্ডে

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ-যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল-আমিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, নির্যাতিত সব ছাত্রীর পরিবারের পক্ষে একজন অভিভাবক শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় আল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করে র‌্যাব।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার (০৬ জুলাই) দু’টি মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে আল-আমিনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওই দিন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। শুনানি শেষে আদালত একটি মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। অপর মামলাটির শুনানি পরে হবে।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২০ জনের বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। ফেসবুকে ওই খবরটি দেখছিলেন বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মা। তখনই পাশে শুয়ে থাকা ওই ছাত্রী তার মাকে বলে, ‘এই শিক্ষক (আরিফুল) গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসার হুজুরকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না?’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই ছাত্রী তার মাকে বিস্তারিত জানায়, অধ্যক্ষ আল-আমিন মাদ্রাসার মেয়েদের ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। পরে ওই ছাত্রীর মা বিষয়টি র‍্যাবকে জানান।

র‍্যাব অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই শিক্ষক মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। এরপরই গত ৪ জুলাই তাকে আটক করা হয়।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading