এইমাত্র পাওয়া

বিদ্যালয়ে কাজের অযুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায় প্রধান শিক্ষকের

পাবনাঃ জেলার ভাঙ্গুড়ায় পাটুলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে নির্ধারিত ফি’র চেয়ে বেশি অর্থ নেওয়াসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকেরা ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে এ অভিযোগ করেন। গত শনিবার বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষককে নিয়ে এ বিষয়ে একটি সভাও করেছেন।

সভায় অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সব বিষয় তুলে ধরেন। প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা তার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ওসমান গণি (রঞ্জু) মোল্লা তাকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সব অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।

জানা যায়, পাটুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫৩ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ৫০, প্রথম শ্রেণিতে ৪৬, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪২, তৃতীয় শ্রেণিতে ৪০, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪০ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫ জন। প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ২০১৮ সালের মার্চে পাটুলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এর পর থেকেই সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তিনি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ম শ্রেণিতে ৫০, ২য় শ্রেণিতে ৬০, ৩য় শ্রেণিতে ৭০, ৪র্থ শ্রেণিতে ৮০ ও ৫ম শ্রেণিতে ১০০ টাকা করে আদায় করছে। এছাড়া, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বাবদ ১৫০ টাকা, প্রত্যয়নপত্র বাবদ ২০০ টাকা, উপবৃত্তি ফর্ম পূরণ বাবদ ২০০ ও ডি আর বাবদ ১৫০ টাকা করে নেন। এ ছাড়াও পুরাতন বই ফেরত নিয়ে বিক্রি করা, বিভিন্ন কোম্পানির সৌজন্য গাইড বই ছাত্র ছাত্রীর কাছে বিক্রি করা, বিভিন্ন দিবসে খেলাধুলা বাবদ টাকা আদায়সহ নানা অযুহাতে ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে বছরের পর বছর টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে আসছে। কোনো ছাত্র-ছাত্রী তার নির্ধারিত চাঁদার টাকা না দিলে মারধর করে সেই ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নিলিমার বাবা ইউপি সদস্য ওসমান গণিসহ একাধিক শিক্ষার্থীর অভিবাবক এই দুর্নীতিকারী শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম না থাকলেও অফিসের নির্দেশে আমি টাকা নিয়েছি। এই টাকা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে লাগিয়েছি। আবার কিছু সময় অফিস ম্যানেজ করতে হয়েছে এই টাকা দিয়ে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়ার বিধান নেই। যদি কোনো শিক্ষক নিয়ে থাকে তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি নিয়ম না মেনে টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৫/১১/২০২৩ 

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.