পটুয়াখালীঃ জেলার কলাপাড়ার আরামগঞ্জ গ্রামে অষ্টম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রী লামিয়া আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে এ ঘটনার মাদরাসা শিক্ষকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে নিহত মাদরাসাছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম কলাপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন আরামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া নূরানী মাদরাসার শিক্ষক আতাউর রহমান, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের রাকিবুল ইসলাম খান, ফয়সাল খান, শাকিল হাওলাদার, ইয়াসিন কবির ও আলাউদ্দিন হাওলাদার।
গতকাল শনিবার দুপুরে আরামগঞ্জ গ্রামের নিজ বাসা থেকে লামিয়া আক্তারের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। সন্ধ্যায় সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় নিহত মাদরাসাছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, লামিয়া আরামগঞ্জ আলীগঞ্জ দারুল ইসলাম দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন মাদরাসায় যাওয়া আসার পথে লামিয়া তার ছোট ভাই মুছা হাওলাদারকে মোহাম্মদিয়া নূরানী মাদরাসায় নিয়ে যেত।
এ মাদরাসার শিক্ষক আতাউর রহমান ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে শিক্ষক আতাউর লামিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। লামিয়া বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করলে তাকে মোবাইল ফোনে নানাভাবে অশ্লীল কথাবার্তা বলতো।
লামিয়া বিষয়টি বাসায় জানালে তাকে হুমকি দিতো শিক্ষক আতাউর ও মামলার অন্য সহযোগীরা।
গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) শিক্ষক আতাউর লামিয়ার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। এতে লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। শনিবার এই অশ্লীল কথাবার্তা সহ্য করতে না পেড়ে লোকলজ্জার ভয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
এদিকে লামিয়ার আত্মহননের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসা শিক্ষক আতাউরসহ মামলার পাঁচ আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
কলাপাড়া থানার কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, তারা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৫/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.