রাজশাহীঃ জেলার দুর্গাপুর উপজেলার নন্দীগ্রাম আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে ২৪ জন। শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র ৭ জনের বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে শিক্ষক-কর্মচারীরা সবাই নিয়মিত বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, কোনো ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন না। মাদ্রাসায় ২২ জন শিক্ষক আর ২ জন কর্মচারী রয়েছে। আর কয়েক জনের বেতন-ভাতা হতে বাকি রয়েছে। শিক্ষকরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। মাদ্রাসার পাশের চায়ের দোকানদার সাইদুর রহমান এবং মাদ্রাসার সঙ্গে থাকা বাড়ির মালিক আব্দুল রাজ্জাক হোসেন বলেন, প্রতিদিন নিয়মিত শিক্ষার্থী মাত্র পাঁচ-ছয় জনের মতো হতে পারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ রহমান বলেন, শুধুমাত্র অধ্যক্ষের কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার নামে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উপজেলার চেয়ারম্যান, সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে পর্যন্ত মামলা করা হয়েছে। মাদ্রাসাটি শুরুর দিকে ব্যাপক ছাত্রছাত্রী ছিল। বর্তমানে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু মুসা এলাকার সুধী ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে নিজেই সবকিছু করেছেন।
মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র আজমত আলী বলেন, এখানে আমি পড়াশোনা করেছি। কোনোদিন দেখিনি সরকারি কোনো দিবস পালন করতে। এখানে প্রায় ৭ জনের মতো ছাত্রছাত্রী রয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া করে এনে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ স্যারের জন্য এলাকাবাসী অধ্যক্ষ স্যারকে ঘৃণা করে ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করান না।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ২৪ জনের মতো শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। খাতা কলমে যে কয়জন শিক্ষার্থী আছে। তারা মাঝেমধ্যে মাদ্রাসায় এসে উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর করে যায়। নিয়মিত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি মাত্র ছয় হতে সাত জনের বেশি হবে না।
অধ্যক্ষ আবু মুসাকে প্রশ্ন করা হয়। মাদ্রাসা এলাকার মানুষ আপনার বিরুদ্ধে কেন কথা বলছে। তিনি বলেন, তাদেরকে বলেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৬/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.