এইমাত্র পাওয়া

প্রতিষ্ঠান একটি অধ্যক্ষ দুইজন

ঢাকাঃ সাধারণত একটি কলেজে একজনই অধ্যক্ষ থাকেন। তিনিই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান। কিন্তু রাজধানীর অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজ যেন উল্টো নিয়মে চলছে। প্রতিষ্ঠানটিতে দুই জন অধ্যক্ষ। কলেজের ওয়েবসাইটেও আছে দুই জনের নাম। তাই যিনি নিয়মিত অধ্যক্ষ তিনি প্রতিষ্ঠানে এলেও কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। নোটিস বা প্রয়োজনীয় কাগজে সই করতে দেওয়া হচ্ছে না তাকে। অপরদিকে সব কাগজে সই করছেন অপরজন। তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের তথ্য ক্যাটাগরিতে অধ্যক্ষ হিসেবে মো. রেজাউজ্জামান ভূঁইয়ার নাম রয়েছে। আবার অধ্যক্ষের বাণীতে রয়েছে রায়হাতুন নাহারের নাম। স্বাভাবিক ভাবে দুই জন অধ্যক্ষ থাকায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত অধ্যক্ষ মো. রেজাউজ্জামান ভূঁইয়াকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় গভর্নিং বডি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পান সহকারী অধ্যাপক রায়হাতুন নাহার। এর মধ্যে তিন মাসের ছুটি শেষে রেজাউজ্জামান ভূঁইয়া ফিরে এলেও দায়িত্ব ছাড়ছেন না রায়হাতুন নাহার। তিনি প্রতিষ্ঠানের সব নোটিশ ও কাগজপত্রে অধ্যক্ষ হিসেবে সই করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়মিত অধ্যক্ষ রেজাউজ্জামান ভূঁইয়া শনিবার রাতে বলেন, ‘আমাকে ১০ জুলাই থেকে তিন মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। ছুটি শেষ হয়েছে গত ৭ অক্টোবর। আমি ৮ অক্টোবর থেকে নিয়মিত স্কুলে আসছি। কিন্তু কোনো কাগজপত্রে সই করছি না।’

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রায়হাতুন নাহার বলেন, ‘রেজাউজ্জামান ভূঁইয়া স্যার এখনও যোগদান করেননি। গভর্নিং বডির সভাপতিও দেশের বাইরে। আগামীকাল (রবিবার) দুপুর ২টায় মিটিং রয়েছে। সেখানে অধ্যক্ষের যোগদানের কথা রয়েছে। তিনি যদি যোগদান করেন, তাহলে আমি আমার দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (কলেজ-২) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একটি কলেজে একজন অধ্যক্ষ থাকবেন এটাই নিয়ম। অধ্যক্ষ ছুটি শেষে যোগদানের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোনো ধরনের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। এটা করলে তা হবে অবৈধ। আর নিয়মিত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে আসার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। কেউ যদি অভিযোগ জমা দেয় অথবা আমরা খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব’।

এদিকে অভিভাবকরা বলছেন, একসময় অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের বেশ সুনাম থাকলেও গভর্নিং বডির অযাচিত হস্তক্ষেপে পড়াশোনার মান এখন তলানিতে। গভর্নিং বডি লেখাপড়ার মান বৃদ্ধিতে নজর না দিয়ে নানা ধরনের খবরদারিতে ব্যস্ত রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। ফলে অধ্যক্ষ তাদের কথা না শুনলেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, গভর্নিং বডির মূল কাজ শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে পরামর্শ দেওয়া। তারা যদি কোনো শিক্ষককে বাধ্যতামূলত ছুটিতে পাঠান, আবার যোগদানেও বাধা সৃষ্টি করেন তা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিটি ভেঙে দেওয়ার এখতিয়ার ঢাকা বোর্ডের রয়েছে। সূত্রঃ দেশ রূপান্তর

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/১০/২০২৩     

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.