মুসাহিদ উদ্দিন আহমদঃ সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলো। ব্যবহারিক পরীক্ষার পর উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরোলে শুরু হবে ভার্সিটিতে ভর্তির যুদ্ধ। এবারের সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের সঠিক উত্তর ভালো লিখতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আশানুরূপ হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে মূল টেক্সট বই বিশদভাবে পড়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশদ জ্ঞানার্জন করতে হয়, যা আজকের অনেক শিক্ষার্থীই করেন না। বলতে দ্বিধা নেই, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজ কোচিং নির্ভর হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের লেখাপড়ায় চলছে কোচিং নামের বাণিজ্য। দেশজুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার। স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাই সাধারণত এখানে পাঠদান করেন। অনেক শিক্ষকের রয়েছে নিজস্ব কোচিং সেন্টার। শিক্ষায়তনে নিয়মিত ক্লাস হয় না, এমন অভিযোগ রয়েছে দেশের কোথাও কোথাও। ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থীর মাঝেও লক্ষ করা যায় প্রবল অনীহা। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে লেখাপড়ার চেয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়াশোনায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এমন শিক্ষার্থীরও দেখা মেলে যারা সারা বছর ক্লাসে উপস্থিত না থেকে শুধু কোচিং সেন্টারে পড়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যায়। ক্লাসে শিক্ষার্থীর নিয়মিত উপস্থিতি ও তার সারা বছরের কার্যলাপের ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিষয়টি তেমন বিবেচনায় আনা হয় না।
এ ছাড়া ভর্তি বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতির কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমাগত কলুষিত হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় পৌনে দুই লাখের অধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে বলে জানা যায়। সকালে বিকেলে রাতে এমনকি স্কুল-কলেজ চলাকালীনও শিক্ষকদের কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনেক শিক্ষক বাসায় নিয়মিত ব্যাচ করে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। শিক্ষকের বাসগৃহই রূপ নেয় কোচিং সেন্টারে। ফলে শিক্ষকের বাসা বা কোচিং সেন্টারের সীমিত গণ্ডির মধ্যেই ঘুরপাক খায় দেশের সব শিক্ষা কার্যক্রম। আর কোচিং বাণিজ্যের নামে শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। কোচিং বাণিজ্য থেকে অবৈধভাবে বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় হয় বলে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। কোচিং সেন্টারে লেখাপড়ার মতো যন্ত্রনির্ভর ব্যবস্থায় পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা, জিপিএ-৫ পাওয়া অসম্ভব নয়। শিক্ষকরা যেভাবেই হোক শিক্ষার্থীর মগজের মধ্যে পাঠ্যক্রমের সীমিত বিষয়বস্তু ঢুকিয়ে দেন যা পরীক্ষার হলে কোনোমতে উগড়িয়ে দেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য সহজ হয়ে যায়। শিক্ষকরাই তাদের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে উৎসাহিত করেন, নির্দিষ্ট প্রকাশনীর বই কিনতে বাধ্য করেন। আর বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খ্যাতিমান শিক্ষকরাই তো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য, কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার রয়েছে এন্তার অভিযোগ। কোচিং সেন্টার নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় প্রত্যন্ত গাঁয়ের কোনো স্কুলের কৃষক, শ্রমিকের সন্তানের পক্ষে খুব একটা ভালো ফলাফল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের স্কুলে যোগ্য শিক্ষক নেই। নেই ভালো বইপত্র। গৃহশিক্ষক রেখে বা কোচিং সেন্টারে গিয়ে লেখাপড়ার সুবর্ণ সুযোগ বা সামর্থ্য কোনোটাই তাদের নেই। কোচিং সেন্টার নির্ভর শহরকেন্দ্রিক লেখাপড়া ধীরে ধীরে বিত্তশীলদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। তাই রাজধানীর স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মফঃস্বল শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
এ কথা সত্য, বিগত সময়ের চেয়ে আজকাল পড়াশোনার পরিধি বিস্তৃত হয়েছে। পাঠ্য বিষয়গুলো হয়েছে উন্নত। সময়ের প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে অনেক প্রায়োগিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ভালো পাঠ্যপুস্তক, কম্পিউটারসহ নানা সাহায্যকারী জিনিস শিক্ষার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অনেক উন্নতিও হয়েছে। উঁচু উঁচু ভবন, দামি আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক পাখা, এমনকি প্রতিষ্ঠান প্রধানের রুমে এসি, অ্যাকুরিয়াম চলে এসেছে। চক, ডাস্টার, কালো বোর্ডের বদলে সেখানে এসেছে দামি হোয়াইট বোর্ড, মার্কিং কলম কত কী! এ ছাড়া শিক্ষকরাও আজ উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে অনেকের। ছাত্র-শিক্ষকের মাঝে আজ দূরত্ব কমেছে। গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বের নিবিড় সম্পর্ক। কিন্তু শিক্ষকতা পেশার প্রতি শিক্ষকের ডিভোশানের অভাবে বাড়েনি শিক্ষার মান।
বিশ্বের হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেন আজ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষকতা পেশা আর দশটা-পাঁচটা চাকরির মতো হয়ে গেছে। এখন আর শিক্ষকতাকে মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি নন অনেকে। শিক্ষকরা কেউ কেউ গতানুগতিকভাবে পাঠদান করেন। অনেক শিক্ষক পড়াতে গিয়ে টেক্সট বইয়ের সাহায্য পর্যন্ত নেন না। সস্তা নোট বই আর গোটি কতক প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাদের লেখাপড়া। শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়ার এ ঘাটতি শিক্ষার্থীকে ঠেলে দিচ্ছে প্রাইভেট টিউটর বা কোচিং সেন্টারের দিকে। এর বাইরে থাকা কিছু নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা। অথচ পঞ্চাশ-ষাটের দশকে এ দেশে এমনকি স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী বছরগুলোতে কোচিং বলতে তেমন কিছুই ছিল না। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে বসেই তাদের লেখাপড়া সেরে ফেলত। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক এমনভাবে পাঠদান করতেন যে, শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়েও খুব একটা পড়াশোনা করার প্রয়োজনও পড়ত না। শিক্ষক এ কাজটিকে তার শিক্ষকতার অংশ হিসেবে মনে করতেন।
সারা দেশে শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে যখন জনমনে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা চরমে পৌঁছেছে, নানা আলাপ, আলোচনা-সমালোচনায় মুখর দেশের সচেতন মহল তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং, প্রাইভেট নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ সব ধরনের নোট-গাইড বই, সহায়ক বা অনুশীলন বই প্রকাশের সুযোগ না রেখে শিক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে। এসব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে জেল-জরিমানা এবং শিক্ষক হলে চাকরিচ্যুত করার বিধানও রাখা হয়। ইতিপূর্বে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি প্রণীত খসড়া সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শ্রেণির শিক্ষকের জন্য নীতিমালা জারি করা হয়। নীতিমালা ভঙ্গের অপরাধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ এমনকি শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির মতো কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালায় বলা হয়, শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে বা কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত হতে পারবেন না। তবে নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে পারবেন। নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ মনিটরিং করার জন্য বিভাগীয় এলাকা, জেলা এবং উপজেলায় পৃথক কমিটি গঠন করা হয়।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এসবের পরও, বন্ধ হয়নি কোচিং বাণিজ্য, হয়নি শিক্ষার মানোন্নয়ন। দেশে এত জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মাত্র কতভাগ ঢাকা বিশ্ববিবিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে সে পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ দেয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর হতে হবে। মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে কোচিং বাণিজ্যের মানসিকতা। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কোচিং সম্পূর্ণ বন্ধ করতে প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি এবং বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা জরুরি। বর্তমানে প্রবর্তিত সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত হলে পরবর্তী সময়ে তা শিক্ষার মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারে। শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে শিক্ষকদের কৌশলী হতে হবে।
এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষক : শিক্ষকের স্বল্পতা কাটানো বৈশি^ক দাবি’। দেশে শিক্ষকের স্বল্পতা দূর করাসহ শিক্ষকের বাস্তব অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য বর্তমান অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হয়। সারা দেশের শিক্ষার মানের সমতা বজায় রাখতে মফঃস্বল শহর ও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষায়তনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ, উচ্চশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক দ্বারা নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা ও তাদের পাঠগ্রহণের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষককে পাঠ্যবিষয়ের বিন্যাস করতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে শিক্ষায়তনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরকে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করতে জোর তৎপরতা চালাতে হবে। সন্তানের লেখাপড়ার প্রতি মা-বাবা, অভিভাবকের হতে হবে যত্নশীল। সন্তান সুশিক্ষায় গড়ে না উঠলে জীবনের অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। সন্তানের প্রতি অভিভাবকের যত্নশীলতা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীও পড়াশোনার বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হলে প্রাইভেট পড়ার আর কোনো প্রয়োজনই পড়বে না। তখন কোচিং বা প্রাইভেট পড়া এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে এনে শ্রেণিকক্ষে সুষ্ঠু পাঠদান নিশ্চিত করতে পারলে উন্নত হবে শিক্ষার মান। শিক্ষকতার মতো একটি মহান পেশার প্রতি সর্বস্তরের শিক্ষককে হতে হবে শ্রদ্ধাশীল। পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থীর মাঝে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। উচ্চ মেধাসম্পন্ন মানুষ যাতে শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহী হন সে লক্ষ্যে শিক্ষকদের সময়মতো পদোন্নতি, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ বেতন কাঠামো উন্নীত করা প্রয়োজন। শিক্ষক তৈরি করা যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব তেমনি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক নিজেরও দায় রয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার মানোন্নয়নে শিক্ষককে সমাজের উচ্চ আসনে বসাতে হবে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত দেশের জন্য একটি যোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিক্ষাই হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। দেশের জন্য দক্ষ ও মানবিক জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সময়ের প্রয়োজনেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষকই একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রধান সহায়ক শক্তি।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও শিক্ষক
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.