ঢাকাঃ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নায়েবে আমির ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। জঙ্গি সদস্যদের মধ্যে কেউ শিক্ষকতা পেশায় আছেন, আবার কেউ হোমিও চিকিৎসক।
রোববার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– নায়েবে আমির সাখাওয়াতুল কবির ওরফে আনিস ওরফে রফিক, তাঁর সহযোগী ইহছানুর রহমান ওরফে মুরাদ ওরফে সাইফ, ইউসুফ আলী সরকার, জাহেদুল ইসলাম ওরফে আশ্রাফ ও বখতিয়ার রহমান ওরফে নাজমুল। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান জানান, আনসার আল ইসলামের সদস্য বখতিয়ার পেশায় হোমিও চিকিৎসক। আত্মগোপনে থাকা জঙ্গি সদস্যদের নিজের বাসায় আশ্রয় দিতেন তিনি। গ্রেপ্তার জাহেদুলও হোমিও চিকিৎসক। সম্প্রতি তিনি আরামবাগ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০১৭ সালে আনসার আল ইসলামে নাম লেখান। জঙ্গি সংগঠনের সাভার অঞ্চলের একটি সেলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, জঙ্গি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন নায়েবে আমির ও বর্তমান শূরা কমিটির সদস্য সাখাওয়াতুল কবির ২০০২ সালে তাঁর ভগ্নিপতি এজাজ কারগিলের তত্ত্বাবধানে ‘জামায়াতুল মুসলিমিন’ নামে একটি সংগঠনে যোগ দিয়ে জঙ্গিবাদে জড়ান। ২০১৪ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার পর ওই বছরের নভেম্বরে দেশটিতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এজাজ মারা যান। এরপর সাখাওয়াতুল ফের আনসার আল ইসলামের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। সেখানে বসেও সংগঠনের কার্যক্রম চালাতেন। ২০১৮ সালে জামিনে বের হয়ে পরের বছর সংগঠনের শূরা সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া নামে জঙ্গি সংগঠন পাহাড়ে তাদের অবস্থান জানান দেয়। এটির সংগঠক শামীম মাহফুজের সঙ্গে সাখাওয়াতুলের পূর্ব ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সেই সূত্রে আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে সাখাওয়াতুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার। আনসার আল ইসলামের সদস্যদের পাহাড়ে নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে শামীম মাহফুজের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মাসিক ভিত্তিতে শামীম মাহফুজকে টাকা দিত আনসার আল ইসলাম।
সিটিটিসি বলছে, জঙ্গি সংগঠনটির ঢাকা অঞ্চলের সামরিক প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন ইহছানুর রহমান। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ২০১৭ সালে আনসার আল ইসলামের সদস্য হন। এরপর সংগঠনের বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে ঢাকা অঞ্চলের সামরিক প্রধান হন। এই শাখায় সদস্যদের যুক্ত করার দায়িত্ব ছিল তাঁর। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মশালা ও অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে সংগঠনটির গাজীপুর অঞ্চলের দাওরা শাখার প্রধান ইউসুফ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি আনসার আল ইসলামে নাম লেখান।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৯/১০/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.