নিউজ ডেস্ক।।
একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায়। এতে চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী প্রথম তালিকায় ঠাঁই পায়নি।
এছাড়া সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েও একাদশে ভর্তির প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে কলেজ জুটেনি ৫০১ জন শিক্ষার্থীর।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য চট্টগ্রামের ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করে।
এর মধ্য থেকে কলেজে ভর্তির জন্য প্রথম তালিকায় নির্বাচিত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ জন। হিসেবে আরো ৮ হাজার ৭০১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেও প্রথম তালিকায় কলেজ পায়নি।
সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পাওয়া মোট ১১ হাজার ৬১২ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১১ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭২ জন প্রথম পর্যায়ে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ–৫ পেয়েও ৫০১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রথম পর্যায়ের তালিকায় কলেজ পায়নি।
প্রথম তালিকায় কলেজ না পাওয়ায় ভর্তির জন্য মনোনয়ন পেতে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীকে। ওই দিন (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। এর আগে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২য় দফায় পুনরায় আবেদন করতে হবে এসব শিক্ষার্থীকে। তবে ২য় দফায় আবেদনকালে তাদের আর আবেদন ফি দিতে হবে না। অর্থাৎ কলেজের পছন্দক্রম পরিবর্তন, নতুন কলেজ যুক্তকরণ বা কোনো কলেজ বাদ দেওয়ার মাধ্যমে আগের (প্রথম দফায় করা) আবেদনটি আপডেট বা সংশোধন করলেই চলবে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক বলেন, সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ থাকলেও আবেদনে কম সংখ্যক কলেজ পছন্দ দেওয়ায় জিপিএ–৫ প্রাপ্ত এসব শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি। জিপিএ–৫ পাওয়া এসব শিক্ষার্থী গড়ে ৫টির মতো কলেজ পছন্দ দিয়ে আবেদন করেছে। এসব শিক্ষার্থীর আবেদন আপডেট করার এখনো সুযোগ রয়েছে।
প্রথম তালিকায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থীদের ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩৩৫ টাকা ফি পরিশোধ করে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন না করলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর মনোনয়ন ও আবেদন দুটোই বাতিল বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে তাদের পুনরায় নতুন করে আবেদন করতে হবে। আর প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনে দেওয়া পছন্দক্রমের উপরের দিকের কলেজে অটো মাইগ্রেশনের সুযোগ পাবে। মাইগ্রেশনের জন্য আলাদা আবেদনের প্রয়োজন নেই।
চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীনে এবার ২৮২টি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে। অনুমোদিত এসব কলেজে আসন সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৯টি। বিপরীতে বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য এবার আবেদন করেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫১ জন।বাংলানিউজ
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.