Breaking News

শেষবেলায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অনূভুতি

এস এম মোজতাহীদ প্লাবন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত সোনার তরী কবিতার ঐতিহাসিক চরণ::

“”সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে
গভীর ক্রন্দন “যেতে নাহি দিব।” হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়!
চলিতেছে এমনি অনাদিকাল হতে।””

‘বিদায়’ শব্দটির কথা শুনলেই খুব কষ্ট লাগে মনের ভিতর আতঙ্কের সৃষ্টি করে। তবে কি আর করা? শুরু আছে তার শেষও আছে। কথিত আছে, জন্ম নিলেই মরতে হয় এটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ বিদায় চির বিদায় নয়। এ বিদায় আনন্দের বিদায়। এ বিদায় জীবনে নতুন এক ধাপে অগ্রসর হবার জন্য। তবুও কিন্তু মনের ভিতরে কেমন যেন করে। স্কুল, কলেজ থেকে বিদায় অনেক আগেই হয়েছিল। এবার শিক্ষা জীবনের শেষ স্তর থেকে বিদায় নেবার পালা। তবে বিদায় বেলায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নামক এক অদ্ভুত বিষয় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বেলায় প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির অনূভুতি শেয়ার করেছেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ শেষ বর্ষ শেষ সেমিস্টারের পাঁচ শিক্ষার্থী।

সুমাইয়া জান্নাত ইভা
দর্শন বিভাগ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ

আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা বড় বড় পরীক্ষার মধ্যে একটি। একজন শিক্ষার্থী এইচ এস সি পরীক্ষা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়, সে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেকে দেখতে চায়। হাজার হাজার ভর্তি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভর্তিযুদ্ধে যখন একজন শিক্ষার্থী টিকে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তখন স্বভাবতই তার মধ্যে অনেক স্বপ্ন তৈরী হয়। আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের সকল স্বপ্নই থাকে তার পরিবারকে ঘিরে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব, ভালো রেজাল্ট নিয়ে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করব, একটা নির্ভরযোগ্য চাকরী করব, পরিবারের ঢাল হব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ভাইভা এর দিনের কথা এখনো আমার মনে আছে। ভাইভার রুমে যাওয়ার সময় মনের মধ্যে কি পরিমাণ একটা উত্তেজনা কাজ করেছিলো সেদিন। নিজেকে নিয়ে নিজেরই গর্ব হচ্ছিল। মনে হচ্ছিলো, বাবা মায়ের একটি স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পেরেছি। হাজার হাজার স্টুডেন্ট এর মধ্যে আমি সেরা একজন এটা ভেবে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছিল। অন্য আর বাকি ৫ জনের মতো আমারও এই স্বপ্ন টাই ছিলো। সাথে এটাও স্বপ্ন ছিলো, আমি যখন এই বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করব, তখন যেন আমি আমার বেস্ট ভার্সন কে আমার নিজের মধ্যে দেখতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা যা শেখা যায়, সব শিখব।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখার অনেক কিছু থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন এর দিন আমাদের ভিসি স্যার একটা কথা বলেছিলেন,
“একটি ফুল থেকে মৌমাছি নেয় মধু, আবার সেই একই ফুল থেকে প্রজাপতি নেয় বিষ। এখন তুমি মধু নিবে নাকি বিষ নিবে, এটা সম্পূর্ণ তোমার ব্যাপার।” এই বিষয়টাকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যা যা শেখা সম্ভব হয়েছে, তা শেখার চেষ্টা করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রথমদিন যখন আসলাম, বিশ্বাসই হচ্ছিল না, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেবলমাত্র পড়ার গন্ডিতেই থাকতে চাই নি। সবকিছুই উপভোগ অরতে চেয়েছি। ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিয়েছি, ঘুরতে গিয়েছি, ডিপার্টমেন্ট এর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলে চ্যাম্পিয়নও হয়েছি, ক্যাম্পাসের চালতা পেড়ে খেয়েছি, সাংবাদিকতা করেছি, ক্লাবিং করেছি, চারুকলার ফ্রেন্ডদের সাথে বসে ওদের পেইন্টিং করা দেখেছি, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এ ফ্রেন্ড বানিয়েছি, জয় বাংলা ভাস্কর্য থেকে সেই ১ নং গেইট পর্যন্ত রোড পেইন্টিং করেছি। শেষ সময়ে এসে জীবনের সর্বোচ্চ উত্থান পতনের সম্মুখীন ও হয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আমি ৪র্থ বর্ষের ৮ম সেমিস্টারের ক্লাস করছি। আমার বরাবরই প্রত্যাশা খুব কম থাকে। এখন এখান থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করে একটা ভালো চাকরি পেলেই আমার প্রত্যাশা পূরণ হয়ে যাবে। আমার বরাবরই ইচ্ছে ছিলো, কর্পোরেট সেক্টরে জব করার। নিজেকে যেদিন সেই স্থানে দেখতে পারব, সেদিন বলতে পারব -আমার প্রাপ্তির খাতা আপাতত পূরণ হলো। ক্যাম্পাস থেকে ভালো মন্দ অনেক স্মৃতি নিয়ে যাচ্ছি, যদি প্রত্যাশা পূরণ হয়, তাহলে এই স্মৃতিগুলো কে মধুর মনে হবে। তখন হয়তো আবার নতুন প্রত্যাশার জন্ম হবে, সেই প্রত্যাশা কে পূরণের তাগিদে নতুন উদ্যোমে আমার নতুন আরেকটি যাত্রার শুরু হবে। সেই পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস যেন বজায় থাকে, আপাতত এটাই প্রত্যাশা করি।

তানজিম হাসান
অর্থনীতি বিভাগ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ

‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটা প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে সবার চাওয়া থাকে অনেক বেশি। কিন্তু প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষে তা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে। এইখানের প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর একটা আলাদা ব্যক্তিসত্তা রয়েছে। একেকজনের চাওয়া পাওয়া একেকরকম। এইখানে যেদিন ভর্তি হতে আসি তখন বুক ভরা প্রত্যাশা নিয়ে আসি ভর্তি হতে। কিন্তু যত দিন ফুরাতে থাকে আস্তে আস্তে সে প্রত্যাশা হারিয়ে যেতে থাকে। যখন ব্যাচেলর প্রথম সেমিস্টারে ছিলাম, ক্যাম্পাস টা মোটামুটি গুছানো ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে উন্নয়নের নামে ক্যাম্পাসের এখানে সেখানে বিল্ডিং করা হচ্ছে যার একটা নেতিবাচক প্রভাব প্রতিটা স্টুডেন্ট এর জীবনে পরছে। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর ভিতরে একটানা এতো বছর ধরে কন্সট্রাকশন এর কাজের এতো শব্দ হয়তো আর কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ হয় না। দেখা গেছে আমরা ক্লাস করতেছি, ক্লাসের পাশে কনস্ট্রাকশন এর কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উচ্চ শব্দে ক্লাসে মনযোগ নষ্ট হচ্ছে বার বার। ক্যাম্পাসের পরিবেশ বলতে তেমন ভালো কিছু পাই নি। রাস্তা-ঘাটের নাজেহাল অবস্থা থেকে শুরু করে খেলার মাঠের বিচ্ছিরি অবস্থা, ডিপার্টমেন্ট এখনও আধুনিকতার অভাব ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কয়েকটা বছর গেলো শুধু অভাব আর অভাবে। তবে এইখানে পড়াশোনা করতে এসে এমন কয়েকজন টিচারদের সান্নিধ্য পেয়েছি এটা হয়তো প্রাপ্তির খাতায় বেশ ভালো অর্থ বহন করবে।হয়তো কয়েক বছর পর আবার ক্যাম্পাস টা সুন্দর হবে, পাঁচ ছয় বছর পরে যারা ভর্তি হতে আসবে তারা হয়তো ভালো কিছু পাবে ক্যাম্পাসে। তাদের জন্য শুভকামনা। ব্যাচেলর জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে এখন মনে হয় শুধু সার্টিফিকেট টা নিয়ে কোনমতে বের হতে পারলেই চলে। “ব্যাচেলর শেষ করতে হবে, একটা জব ম্যানেজ করতে হবে, পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে” এই কথাগুলো বার বার মাথায় ঘুরে।
সর্বোপরি চিন্তা থেকে বলতে পারি যে, অন্তত আমাদের সময়টা তে একটা স্টুডেন্ট যত আশা নিয়ে এইখানে এসেছে তার পুরোটা পায় নি কখনও।

মালিহা খন্দকার
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ

“পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করতে গেলে, চলে আসে দেনা-পাওনার বিষয়। আমি কতটুকু পেলাম এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত প্রশ্ন, আমি কতটুকু দিলাম। প্রায় শেষ বেলায় এসে, পিছনে তাকালে সবচেয়ে বড় যে প্রাপ্তি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তা হলো একটি পরিচয়, একটি আশ্রয়। প্রাপ্তির তালিকা নেহায়াত কম না। একাডেমিক, নন- একাডেমিক জায়গা থেকে যেমন প্রাপ্তি আছে, সেই সাথে আছে অপ্রাপ্তিও। অপর্যাপ্ততা, আন্তরিকতার অভাব, দায়সারা ভাব… এসবই। তবে নিজের সুবিধার জন্য, নিজেকে হতাশার মায়াজাল থেকে বাঁচানোর জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ঐসব একটু কম ভাবার চেষ্টা করি। আর ভাবি আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কতটুকু দিচ্ছি। এই ক্যাম্পাসের গন্ডির বাইরে যখন যাচ্ছি তখন আমার কাছ থেকে কি ধারণা পাচ্ছে মানুষ আমার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে। আমি বিশ্বাস করি অবস্থা যতই বৈরী হোক না কেন, যে ফুল ফুটার সে ফুল ফুটবেই৷ তাই চেষ্টা করি সবসময় নিজেকে সেইভাবে গড়ার যেন আমার কাছ থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা মানুষ পায়”

তানজুম ফেরদৌস
লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ

এইচএসসি দেয়ার পর আর বাকি স্টুডেন্টদের মতই স্বপ্ন ছিলো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। ভর্তি কোচিং করার সময় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা যে ক্লাস নিতেন, তাদের গল্প শুনতে শুনতেই মনের মধ্যে সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন সম্পর্কে এক কল্পনার রাজ্য তৈরী হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড সাইন্স থাকার পরও মূলত ডি ইউনিটের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলাম এবং ভর্তিযুদ্ধে আলহামদুলিল্লাহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১তম স্থান অধিকার করে ২০১৯ সালে ভর্তি হই। যেহেতু আইন বিভাগে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে ডি ইউনিটের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তাই মেধাক্রমে অনেকটা সামনের দিকে থেকেও ১ম চয়েস আইন না আসায় প্রথম কিছুদিন মনঃক্ষুণ্ন ছিলাম। তবে যেদিন ভর্তি হই সেদিন কোনো এক বড় ভাইয়ের মুখে শুনেছিলাম লোকপ্রশাসন বিভাগ হলো সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মধ্যে একটি রয়্যাল ডিপার্টমেন্ট। ক্লাস শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেই আইন বিভাগে ভর্তি না হতে পারার আফসোস গেলো। বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিনিয়র ভাই-বোনেরা প্রত্যেকেই অনেক বেশি আন্তরিক ছিলেন।

ওরিয়েন্টেশন এর দিন বিভাগের একজন শিক্ষক একটি কথা বলেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় হলো এমন একটি জায়গা যেখানে একইসাথে একই সময়ে কোথাও ক্লাস হবে, কোথাও রাজনৈতিক মিছিল হবে, সাংস্কৃতিক চর্চা হবে, কোথাও মিটিং হবে আবার কেউ বা সেই সময়ে হলে পড়াশোনা করবে। মোটকথা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের চর্চাই হয়, আপনি আপনার ইন্টারেস্টেড সেক্টর খুঁজে বের করে সেখানে কাজ করবেন। বর্তমানে আমি কিছুদিন আগেই স্নাতক পরীক্ষা শেষ করেছি এবং কিছুদিন পর থেকেই মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হবে। করোনাকালীন একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে এত তাড়াতাড়ি অনার্স শেষ করাটাও বিভাগের জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিলো যেটি বিভাগের প্রত্যেকের পরিশ্রম এবং আন্তরিকতা থাকার জন্যই সম্ভব হয়েছে। আর প্রায় ৫ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সবটাই যে সুখকর অভিজ্ঞতা ছিলো তাও নয়। তবে আমি বিশ্বাস করি জীবনে আপস এন্ড ডাউনস থাকবেই সবজায়গায়, সেটা মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সব সিচুয়েশনে কিভাবে নিজেকে এডজাস্ট করতে হয় এ ব্যাপারটা শিখেছি এবং খারাপ অভিজ্ঞতা বা ভুল থেকেও শিক্ষা নিতে শিখেছি যেটা পরবর্তী জীবনে পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে “As you sow, so you reap” – বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটাও ঠিক এরকমই, যে যতটুকু এফোর্ট দিয়ে নিজেকে তৈরী করবে পরবর্তী জীবনে আপনি ততটুকু বেনিফিটেড হবেন। তবে সফলতার সংজ্ঞা প্রত্যেকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন। আমার কাছে সফলতা বলতে একটা ভালো একাডেমিক রেজাল্ট বা ক্যারিয়ার না শুধু, এগুলোর সাথে কতটুকু বাস্তব অভিজ্ঞতা নিজের ঝুলিতে যুক্ত হলো সবটা মিলিয়েই সফলতার বিচার করি। আর সব মিলিয়ে বলবো আমি আজকে যেখানে যেই অবস্থানেই আছি না কেন আলহামদুলিল্লাহ। আমি আমার সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ সবকিছুর জন্য।

হিমেল বণিক
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ

এইতো সেদিন ২০১৯ সালে বাসে করে ক্যাম্পাসে আসা। আর এখন দেখতে দেখতে ক্যাম্পাস লাইফ শেষের পথে। দিনের হিসেবে অনেক হলেও আমার কাছে খুবই অল্প সময়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে অনেক মানুষের সথে চলাফেরার মাধ্যমে অনেককিছু শিখতে পেরেছি। এখানে ভালো কিছু বন্ধু-বান্ধর, রুমমেট, কাছের ভাই-ব্রাদার্স, বোন এবং প্রিয়কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকা পেয়েছি। যাদের নিয়ে গল্প বললে জীবন কাঁটিয়ে দেওয়া যাবে।
হ্যাঁ জানি, আর কিছুদিন পর হয়তোবা কাওকেই কাছে পাবো না। প্রতেকেই জীবনের নিয়মে নিজ নিজ গন্ত্যবে হাঁটতে থাকবে।
অন্তিম পর্যায়ে এসে চাইবো, আমার প্রিয় মানুষগুলো তার পরিবার নিয়ে ভালো থাকুক এবং হাসিখুশি থাকুক এবং সবাই নিজেদেরকে তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাক।
এটাই হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষবেলার প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/৩০/০৮/২০২৩    

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Check Also

জার্মানির আউসবিল্ডুং: সুযোগ-সুবিধা কী, আবেদন পদ্ধতি কেমন

ঢাকাঃ পরিবেশবান্ধব, তথ্যপ্রযুক্তি এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে ক্রমশ এগিয়ে শেনজেন ভুক্ত দেশ জার্মানি। ফলে …