এইমাত্র পাওয়া

মাউশি অধিদপ্তর পরিচালককে ব্যতিক্রমী শাস্তি !

অনলাইন ডেস্ক :

একটি নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মে অভিযুক্ত করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে ব্যতিক্রমী শাস্তি দিল মন্ত্রণালয়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল নিয়োগ পরীক্ষায় এই কর্মকর্তাকে অন্তভর্‚ক্ত না করার নির্দেশ দেয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে ইতিমধ্যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনও পরিচালককে বেসরকারি কলেজের নিয়োগ কমিটিতে আজীবন নিষিদ্ধ করার ঘটনা এটাই প্রথম বলে শিক্ষাখাতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শাস্তি পাওয়া মাউশির এই কর্মকর্তা হলেন অধিদপ্তরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ পরিচালক (কলেজও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবীর চৌধুরী।সম্প্রতি ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ করতে গিয়ে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তবে এই নিয়োগ কমিটিতে গভর্নিং বডির আরো ৪ জন সদস্য ছিলেন। তাদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

অভিযোগ আছে, দুদকের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরের স্ত্রীকে  দেশের শীর্ষ স্থানীয় এ প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগের জন্য নানা কৌশলের আশ্রয় নেন এই পরিচালক। গত ২৬ এপ্রিল অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।  নিয়োগ পরীক্ষায় সবাই ফেল করেন। এ পরীক্ষায় ৩০ এর মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন পাওয়া র“মানা শাহীন শেফা নামের এক প্রার্থীর নিয়োগ চ‚ড়ান্ত করে তৎকালীন গভর্ণিং বডি। শিক্ষা অধিদপ্তরের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে তিনিও এই প্রক্রিয়ায় থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। র“মানা শাহীন শেফার  স্বামী দুদকের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছির।

অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত ২৯ এপ্রিল রাজধানীর খ্যাতনামা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ। অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজি। বাকি দুই সদস্য হলেন -ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হার“নুর রশীদ ও মাধ্যামিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. আনোয়ার“ল আউয়াল খান।

তারা সরেজমিনে তদন্ত করে গত জুনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের কাছ তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। সেই তদন্তের ভিত্তিতে গতকাল মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা নিল।

শিক্ষা ক্যাডারের এই অধ্যাপক শাহেদুল খবীর গত মার্চে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) পদে বদলি হয়ে আসেন। এর আগে তিনি দীর্ঘ দিন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পরিদর্শক (স্কুল) ও সচিব পদে দায়িত্বে ছিলেন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading