এইমাত্র পাওয়া

তরুণকে ছুরিকাঘাত করে জনরোষের মুখে শিক্ষক

ময়মনসিংহঃ জেলার নান্দাইলে এক তরুণকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে জনরোষের মুখে পড়েন মাদ্রাসার এক শিক্ষক। ভয়ে ওই শিক্ষক নিজের আধা পাকা ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। গ্রামের কয়েক শ বাসিন্দা ওই শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে রাখেন। লোকজন যখন ঘর ভেঙে শিক্ষককে বের করে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই টঙ্গীরচর গ্রামে। ওই শিক্ষকের নাম আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বিরুদ্ধে এক তরুণকে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। তিনি একই গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে, পাশের আউলিয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসার কৃষি বিষয়ের শিক্ষক।

আহত তরুণ আমিনুল ইসলাম সিংদই টঙ্গীরচর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। আজ সোমবার আমিনুল কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। মা তাঁকে এগিয়ে বিদায় জানাচ্ছিলেন। এ সময় মাদ্রাসা শিক্ষক ওই তরুণের বুকে ছুরিকাঘাত করেন বলে জানান ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।

আহত আমিনুলকে প্রথমে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নান্দাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, ধারালো কিছুর আঘাতে ওই তরুণের বুকের বাঁ পাশে গভীর ক্ষত হয়েছে। তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

টঙ্গীরচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক শ মানুষ মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়িটি ঘেরাও করে রয়েছেন। সেখানে ১৫-২০ জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নানা ছুতোয় মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। চার দিন আগে ওই শিক্ষকের পরিবারের এক তরুণী এক যুবককে বিয়ে করেন। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। বিয়ে করা তরুণ হচ্ছেন ছুরিকাঘাতে আহত আমিনুল ইসলামের প্রতিবেশী। বিয়ের ঘটনায় আমিনুল জড়িত বলে সন্দেহ করেন শিক্ষক আবুল কালাম।

পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে চলে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষকের বাড়িতে থাকা একটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে আবার পুলিশ গ্রামে এসে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে। গ্রামের কয়েকজন লোক পুকুর থেকে বালতি করে পানি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তাঁদের হেফাজতে আছেন। এখনো কেউ মামলা করেনি। আহত তরুণের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছেন। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০১/০৫/২০২৩  

দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.