এইমাত্র পাওয়া

১১ ও ১০ গ্রেডের দাবিতে কর্মবিরতির ৩য় দিন অতিবাহিত

নিউজ ডেস্ক।।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালী জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও প্রধান শিক্ষকের ১০ ম গ্রেড ও সহকারি শিক্ষকগণের ১১তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি ঘোষণার দাবীতে কর্মবিরতির ৩য় দিন অদ্য ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস স্বতঃফূর্ত ভাবে বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি পালন করছেন ।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা যায় প্রাথমিক শিক্ষকরা ৯ মার্চ ২০১৪ খ্রিঃ প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নীত বেতনস্কেল ঘোষনা করে প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির নামে মাত্র মর্যাদা দেয়ার পর থেকেই নিজেদের সামজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, রুজির রুটির সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছাতে একই দাবীতে বিভিন্ন সময় মানবন্ধন, অনশন, আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছিলেন ।

২০১৭ সালে আমরণ অনশনে উপস্থিত হয়ে তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার উপস্থিত হয়ে হাজার হাজার শিক্ষকের সম্মূখে ওয়াদা করেছিলেন। বাংলাদেশ আাওয়ামীলীগের সম্মানিত সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একাদশ নির্বাচনকালীন সময়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবির বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দিয়ে ভয়েস কল করেছিলেন।

কিস্তু সরকার গঠনের দীর্ঘ সময় পার হলেও ৬ বছর ধরে চলতে থাকা দাবীটির বিষয়ে অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও দৃশ্যমান তেমন কোন অগ্রগতি নেই বলে সুবর্ণচরে ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব, মোঃ রেজা উদ্দিন শিক্ষা বার্তা ডটকমকে জানান। তিনি আরো বলেন আমরা প্রাথমিক শিক্ষকরা নিরুপায় হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচীতে রয়েছি, পৃথিবীর এমন কোন দেশে নেই যেখানে শিক্ষকরা আত্মমর্যদা রক্ষায় আমাদের মত এত দীর্ঘসময় ধরে আন্দোলন- কর্মসূচী পালন করতে হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে পূৃর্বাহ্নেই শিক্ষক সম্প্রদায়ের মর্যাদা বৃদ্ধির বিষয়টি কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিবেচনায় নিয়ে দাবীর যৌক্তিকতায় প্রধান শিক্ষকের ১০ ও সহকারি শিক্ষকগণের ১১ তম গ্রেড বেতনস্কেল ঘোষনা করবেন বলে প্রত্যাশা ।

শিক্ষা বার্তা ডটকমকে ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন সারা বছর আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতার সাথে পালন করে আসছি। অথচ যখন আমরা নিজেদের সমাজে অবস্থান সুদৃঢ় করতে কর্মবিরতির কর্মসূচিকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে, পরিপত্র জারি করে বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন! অনেক ক্ষেত্র স্থানীয় কর্মকর্তারা উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে কর্মসূচী পালিত হচ্ছেনা বলে অসত্য তথ্য দিচ্ছেন।

সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক জাতীয়করণকৃত প্রধান শিক্ষক কর্মসূচী পালনকারী সহকারি শিক্ষকদের সাথে অশিক্ষকসুলভ আচরণ করছেন। প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের ন্যয্য আন্দোলনের সুফল পেতে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছেন। নেতৃবৃন্দ আরো জানান আগামি দিন গুলোতে কর্মসূচী আরো কঠিন ও কঠোরতম হিসেবে পালন করতে হবে যতদিন না আমাদের কাক্ষিত দাবী পূরণ না হবে ততদিন পর্যন্ত। তাই ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতির কর্মসূচী সকল শিক্ষক বিদ্যালয়ে আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং আজকের কর্মসুচি সফলভাবে পালন করার জন্যে সকল শিক্ষককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading