এইমাত্র পাওয়া

ইউনিয়নভিত্তিক জাতীয়করণ

শাহ আলম সরকার।।
দিন যায় দিন আসে, যায় দিন কি ফিরে আসে? নিশ্চয়ই না। তাহলে কেন শিক্ষার মত মৌলিক বিষয় নিয়ে আজও রাষ্ট্রে বিভিন্ন অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এই জনপদের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, তার জীবদ্দশায় তা ছিনিয়ে এনেছেন। এত অল্প সময়ে এ কঠিন কাজটি করতে পারলেও বাঙালি এর স্বাদ নিতে কয়েক যুগ পাড়ি দিচ্ছে। আজও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে মোটা অঙ্কের বেতন ভাতা দিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের সংগ্রাম করে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।

সিংহভাগ জনগোষ্ঠীর মানুষ গ্রাম বাংলার হাওর-বাঁওড়-চরাঞ্চলে বসবাস করছে। এখনও মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সেই কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থা কারো অজানা নয়। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার ও সরকারিকরণের সুবিধা থাকলেও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চিত্র একেবারে বিপরীত। টিউশন ফি, বিদ্যুৎ বিল, খেলাধুলাসহ নানা রকম ফি শিক্ষা ব্যবস্থায় চলমান। কিন্তু আজও জাতীয়করণের ছোঁয়া নেই কৃষক সন্তানের ভাগ্যে।

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, মাধ্যমিকে জাতীয়করণের জন্ম হয়েছে জেলা-উপজেলার মোটামুটি স্বচ্ছল বাবার সন্তানদের জন্য! তা নাহলে প্রায় এক কোটি অস্বচ্ছল মা বাবার সন্তানরা এ সুবিধা পাবেন না কেন? তাই বিনীত আরজ, দেশের মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট শিক্ষায় ভারসাম্য ও গতি আনতে ইউনিয়নভিত্তিক একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা জাতীয়করণ করে বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবিক ও দ্বীনি জীবন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সদয় হোন। আল্লাহ আপনার ও দেশের মানুষের সহায় হোন।

লেখকঃ সহকারী শিক্ষক 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.