এইমাত্র পাওয়া

খুলনার তিন কলেজের ২৭ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে

যশোর বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টে খুলনার তিনটি কলেজের ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ না করায় (রিপোর্টেড) তাদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পড়েছে। পরীক্ষার রেজাল্ট না পাওয়ায় উক্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখও শেষ হয়ে গেছে। ফলে উক্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছে। ফলাফল প্রকাশ না হওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে তাদের এক অভিভাবক প্রণব কুমার নন্দী গত রবিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফলাফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ও রাড়ুলি কলেজ এবং পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শালিখা কলেজের শিক্ষার্থীরা বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় রাড়ুলি (৩৮৪ নম্বর) কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তারা পরীক্ষায় যথানিয়মে অংশগ্রহণ করেন এবং কোনো প্রকার অনিয়মের আশ্রয় নেননি। গত ১৭ জুলাই সব বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও উক্ত তিনটি কলেজের ২৭ জন ফলাফল রিপোর্টেড (প্রকাশ করা হয়নি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে কেন্দ্র সচিবের কাছে রিপোর্টেডের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনিও সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি। এরপর গত ২৩ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার মাধবচন্দ্র রুদ্রর সঙ্গে তারা দেখা করেন। এ সময় তিনি তাদের জানান, ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় হাতের লেখা দু’রকম থাকায় তাদের রিপোর্টেড করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যথানিয়মে নিজেরাই খাতায় উত্তর লিখেছি ও নির্দোষ দাবি করলে কন্ট্রোলার মাধবচন্দ্র রুদ্র বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে তাদের আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে কেন্দ্র সচিব ও কলেজের শিক্ষকরা আমাদের জানান, ৩ আগস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ তদন্তে আসবেন। এরপর গত ১ আগস্ট আমাদের চাঁদখালী কলেজে ডেকে নিয়ে সব শিক্ষকের সামনে তদন্তের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন ব্রিফিং দিয়ে বলেন যে, ‘ আমরা যেন তদন্ত কর্মকর্তাকে বলি নিজেরা অন্যের খাতা দেখে লিখতে গিয়ে তাড়াহুড়ায় হাতের লেখা দুই রকম হয়ে গেছে। এটা বললে বোর্ড মার্সি করে তোমাদের রেজাল্ট দিয়ে দিবে। তখন আমরা মিথ্যা বলতে অস্বীকার করি। শিক্ষকদের এ আচরণে আমরা বুঝতে পারি তারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত।

এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কন্ট্রোলার মাধবচন্দ্র রুদ্র বলেন, উক্ত পরীক্ষার্থীদের খাতায় মারাত্মক কিছু অসংলগ্নতা রয়েছে। ফলে পরীক্ষকরা তাদের রিপোর্টেড করেছে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে তদন্ত হয়েছে। কেন্দ্র ও পরীক্ষা কমিটির এর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.