কিশোরগঞ্জের বেসরকারি ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক ছাত্র। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় প্রাণে বেঁচে যান ওই শিক্ষক।
বেসরকারি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত ক্লাসে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরাই শুধু পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে। এলএলবির দশম সেমিস্টারের ছাত্র শেখ মোজাম্মেল মাহমুদ রিয়েল এ পর্যন্ত কোনো ক্লাসে অংশ নেননি। তারপরও পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দিয়ে তাকে ১১তম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করার দাবি জানান তিনি।
বিভাগীয় প্রধান এ সুযোগ না দেয়ায় গত শনিবার দুপুরে তিনি ছুরি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিভাগীয় প্রধান মহসিন খানকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মহসিন খান তখন চার তলায় এলএলএমের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। সেখানে গিয়ে ছুরি নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন রিয়েল। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। সামান্য আহত হন।
মহসিন খান জানান, লোকজন না থাকলে সে আমাকে মেরেই ফেলত। ছেলেটি তখন নেশাগ্রস্ত ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। পরে সে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ২০৯ নম্বর কক্ষ ভাঙচুর করে চলে যায়।
ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আরজ আলী ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. আ ন ম নৌশাদ খান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
শহরের নীলগঞ্জ রোডে তিনটি ভবন নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের কাছেই বাসা হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রিয়েল প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করতেন।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.