ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির। তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। এবার নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোটের নির্বাচিত হলে কমিটি বাণিজ্য হবে না বলেও জানান জাকির।
জাকিরুল ইসলাম জাকির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগে অর্নাস শেষ করেন। তিনি ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কারণে ক্যাম্পাসে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি তাকে। একারণে এম এসসি শেষ করতে পারেননি।
এছাড়া সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন জাকির। এরআগে ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১নং যুগ্ম আহবায়ক ও আলবেরুনী হল শাখা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্রজীবনের রাজনীতি করতে গিয়ে পুলিশী হয়রানী হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে অনেকবার। ওয়ান ইলেভেন থেকে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে মামলার এখন ৩৮ টি। সাভার আশুলিয়া, দারুসসালাম ও পল্টন থানার এসব মামলায় কয়েকবার কারাবরনও করেন।
জানতে চাইলে মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির বলেন, ২৭ বছর পর ছাত্রদলের কাউন্সিল যে পেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা সত্যিই কঠিন। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন- নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ছাত্রদলের সারাদেশের সবকটি ইউনিট যোগ্য নেতৃত্বে মাধ্যমে শক্তিশালী করতে হবে।
ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসমুখী করার বিষয়ে জাকির বলেন, ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে শক্তিশালী করতে হবে। সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ইউনিটগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মী তৈরি করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপির অবদান তুলে ধরতে হবে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলেন, সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কঠোর আন্দোলন কর্সসূচির গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে স্বতন্ত্র কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকবে ছাত্রদল।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৭ বছর পর প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল শীর্ষ নেতৃত্ব বেছে নেবে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ছাত্রদলের পঞ্চম কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে বিএনপির বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও গুম হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালে ভোট হচ্ছে। এই ভোটে এবার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন্য ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।
সভাপতি পদে লড়ছেন, কাজী রওনকুল ইসলাম, মো. ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ মামুন বিল্লাহ (ওরফে মামুন খান), মাহমুদুল হাসান, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা, মো. এরশাদ খান, এস এম সাজিদ হাসান ও এ বি এম মাহমুদ আলম সরদার।
সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন, মো. জুয়েল হাওলাদার, মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. কারিমুল হাই, মাজেদুল ইসলাম, ডালিয়া রহমান, মো. আমিনুর রহমান, শেখ আবু তাহের, শাহ নাওয়াজ, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন, মো. হাসান, মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, শেখ মো. মশিউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.