এইমাত্র পাওয়া

বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

বাকৃবি প্রতিনিধি।।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে ওই ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, শনিবার রাতে ফজলুল হক হলের ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিপক্ষ গ্রুপের মুনতাসির রাসিব, মজনু রানা, আকাশ রহিম রাজনৈতিক আলাপচারিতা করছিল। এসময় ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাকৃবি ছাত্রলীগের সদস্য তাহছিউদ্দৌলা বাপ্পি সেখানে উপস্থিত হলে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে বাপ্পি হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোহান ইসলাম ও হল কমিটির অন্যান্য কর্মীদের ডেকে নেন। পরে লাঠিসোঠা হাতে দুই গ্রæপের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. আজহারুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে তারা চলে গেলে আবারও তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এদিকে বর্তমান কমিটির বিপক্ষ গ্রæপের সাথে মেলামেশার অভিযোগে শহীদ শামসুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের চার জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে চলে যেতে বলেন কমিটির নেতারা। পরে বিপক্ষ গ্রæপের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতারা বিষয়টি জানতে পারলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

বাকৃবি ছাত্রলীগের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটির বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছিল। গত ২৫ মার্চ কে আর মার্কেটে দুই গ্রæপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছিল।

এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ বলেন, ওইসময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। হলের সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে হলেই ঘটনাটির মিমাংসা হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা আমার জানা নেই। পরে প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.