ছাত্রদলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সভাপতি পদে মামুন খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে জুয়েল হাওলাদারের মনোনয়ন যাচাই বাছাই কমিটি বৈধ বলে ঘোষনা করলেও আপিল কমিটি তা বাতিল করেছে।
শুক্রবার রাতে আপিল কমিটির পক্ষে শামসুজ্জামান দুদু ও ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ দুই প্রার্থীর প্রার্থীতা আপিল কমিটি অনুমোদন করেনি বিধায় তাদের প্রার্থিতা আর বহাল নেই।
তবে কি কারণে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
যাচাই বাছাই কমিটির এক সদস্য বলেন, আপিল কমিটি তাদের কাজের পরিসীমার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মনে করেন তিনি। কারণ যাচাই বাছাই কমিটি যাকে বৈধ বলেছে তাকে আপিল কমিটি অবৈধ বলতে পারেন না। আপিল কমিটির কাজ হচ্ছে, যেসব প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে তারা যদি আপিল করলে তা খতিয়ে দেখা। যাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে তারা যদি যৌক্তিক তথ্য-প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা তাহলে আপিল কমিটি তাদের প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেবেন।
তারপরও কোন যুক্তিতে কেন তারা মামুন ও জুয়েলের প্রার্থীতা বাতিল করেছে তার হয়তো ব্যাখ্যা দেবেন আপিল কমিটি।
সভাপতি পদ প্রার্থী মামুন খান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বাছাই কমিটিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও আপিল কমিটি আমার প্রার্থীতা কোনো কারণ ছাড়াই বাতিল করে যে প্রেস রিলিজ দিয়েছে তা একজন রাজনৈতিক কর্মীর প্রতি অবিচার এবং অবৈধ। সেখানে কোনো কারণ উল্লেখ নাই। আমাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী জুয়েল হাওলাদার বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমি হয়তো ষড়যন্ত্রের স্বীকার। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেয়া হয়নি। এমনকি এবিষয়ে আমাকে অফিসিয়ালভাবে অবগতও করা হয়নি। আমি জানি না কি আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হলো। দেশনায়ক তারেক রহমানের কাছে আবেদন আমাকে যেন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ করে দেন। আর এখন তারা আমার ফোনও ধরেন না।
কি কারণে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে এবিষয়ে দলের কাছে লিখিতভাতে জানতে চাইবেন বলে জানান জুয়েল।
এর আগে গত মঙ্গলবার ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ৪৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা করে যাচাই বাছাই কমিটি। এর মধ্যে সভাপতি পদে ১৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ৩০ জন প্রার্থী।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত। ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.