চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ফের পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে মেঘনা নদীর প্রবল স্রোতে তীব্র নদীভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কবলে ইতিমধ্যে রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনকবলিত ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিউল্লাহ সরকার ও রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রিন্সপাল এএইচএম হাবিবুল্লাহ জানান, ভাটা শুরুর সময়টাতেই ভাঙন শুরু হয়। তারা বলছেন, আমরা কোনো ত্রাণ চাই না। আমরা চাই ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, উজান থেকে প্রবল বেগে পানি চাঁদপুর হয়ে নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচণ্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়। যে কারণে নদী আবারও বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে ঢালীর বাজার, দেওয়ান বাজার, লগ্মীমারা ও বন্ধুকসী বাজার এলাকায় নদী ভাঙছে। এ পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শওকত ওসমান জানান, নদী প্রচণ্ড উত্তাল। তবে মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভাঙন ছিল তা আপাতত নেই। কিন্তু যে গতিধারা সে হিসেবে ছোবল হানতে পারে। এলাকাবাসী ইতিমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। এখন মঙ্গলবারের তীব্র ভাঙনের শিকার পাকা স্থাপনাগুলোর কিছু অবশিষ্ট নদীতে অর্ধ নিমজ্জিত। তিনি বলেন, ভাঙন ঠেকানোর মতো কোনো অবস্থা সেখানে নেই। তবে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসক ১০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.