২০ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শিক্ষক আটক

ব্ল্যাকমেইলিং করে ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া মাদ্রাসা রোডের বেসরকারি অক্সফোর্ড স্কুলের দুই শিক্ষক আটক হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর একটি দল স্কুলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং ক্যামেরা তল্লাশি করে ছাত্রীর সঙ্গে ধারণকৃত লোমহর্ষক চিত্র জব্দ করে র‌্যাব।

প্রাথমিকের শিক্ষক বদলির নীতিমালায় ফের পরিবর্তন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।

গ্রেপ্তার দুই শিক্ষক হলো- ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলাম (৫৫)। তিনি ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার বাকচর এলাকার বাসিন্দা। অপরজন একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল (৩০)। তিনি মাদারীপুর জেলা সদরের শিলখাড়া এলাকার বাসিন্দা।

খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ, উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ ও হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, ‘অক্সফোর্ড স্কুলের শিক্ষক বিভিন্ন ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করেছে এমন খবরের ভিত্তিতে স্কুলে এসে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে আটক করি। তার মোবাইলে যে সমস্ত ডকুমেন্টস পাই তা অত্যন্ত ভয়ানক। বিভিন্ন কৌশল করে সে ২০’র অধিক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার চিত্র তার মোবাইলে ধারণ করে’।

তিনি জানান, আরো কিছু ডিভাইস পেয়েছি যা এখনো চেক করার সম্ভব হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এতে জড়িত। পরে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়েই ইনভেস্টিগেশনটি করেছি। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারদের ডাকব, তারা যদি মামলা করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অথবা সাইবার অ্যাক্টে যে অপরাধ হয়েছে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.