বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুল আলোচিত এমপিওভুক্তির চূড়ান্ত তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করবে। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত তালিকাটি মন্ত্রণালয় হাতে পেলেই তা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
সূত্র বলছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ তালিকা পাওয়া যাবে। ঈদুল আজহার পর ১৪ আগস্ট শর্ত পূরণ করা প্রায় দুই হাজার ৭০০ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এমপির জন্য প্রতিষ্ঠান যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক জাবেদ আহমেদ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন করা তালিকা মন্ত্রণালয়ে বা সচিবের দফতরে আসেনি। তবে মন্ত্রণালয়ে দিনভরই খবর ছিল, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত তালিকা এসেছে এবং প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: সোহরাব হোসাইন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পরই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন যে দিনই জারি হোক, তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা গত ১ জুলাই থেকেই এমপিওর সুবিধা পাবেন।
কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে এবার এমপিও তালিকায় স্থান দেয়া হবে তা নিয়ে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এবার যাদের এমপিও দেয়া হবে, তাদের জন্য কিছু শর্তারোপ করা হবে। সাময়িক এবং একটি সময় বেঁধে দেয়া হবে প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখা হচ্ছে কি না। তা যাচাইয়ের জন্য। তালিকায় কত স্কুল-কলেজ রয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। শোনা যাচ্ছে মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন হবে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ আলাদা এবং তাদের নীতিমালা প্রায় এক রকম হলেও আলাদাভাবেই নীতিমালা জারি হয়েছে।
নীতিমালার কঠোর শর্ত কিঞ্চিত শিথিল করে হাওর, চরাঞ্চল, পাহাড়ি এলাকা, অনগ্রসর এলাকার কিছু প্রতিষ্ঠানকে এমপিও আওতায় আনার এবং বাদ পড়া উপজেলায় অন্তত একটি করে হলেও প্রতিষ্ঠান এমপিওর তালিকায় স্থান দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো তালিকায়। যেসব উপজেলায় কোনো প্রতিষ্ঠানই এত দিন এমপিওভুক্ত ছিল না, নীতিমালা ও যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদের মধ্য থেকে এমপিওর আওতায় আনতে শর্ত কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে তা যোগ্যতার ন্যূনতম ৫০ নম্বর প্রাপ্তি সাপেক্ষে।
গত কয়েক বছর ধরে এমপিওর দাবিতে আন্দোলনরত নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহমুদন্নবী ডলার বলেন, আমাদের বিশ্বাস সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবেন এবং নির্বাচনের আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন, আমাদের দাবি স্বীকৃতি প্রাপ্ত সব কয়টি প্রতিষ্ঠানকেই এমপিওর আওতায় নেয়ার। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে করা যেতে পারে। বেতনও ধাপে ধাপে দেয়া হোক। কারণ ১৭-১৮ বছর ধরে বহু শিক্ষক বিনা বেতনে চাকরি করছেন। তাদের বয়স শেষের দিকে। অন্যথায় এ সব শিক্ষক ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.