নিউজ ডেস্ক।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ট্যুরিস্ট সোসাইটির জন্য নির্ধারিত টিএসসির কক্ষ থেকে মধ্যরাতে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আটক ছাত্রীর দাবি রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে কিছুই হয়নি। চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলেন তারা।
ছাত্রের নাম ইমরান হোসাইন শাহরিয়ার। তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। আর উদ্ধারকৃত ছাত্রী আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটের ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করেন। তিনি রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী বলে জানা গেছে। যদিও তিনি প্রথমে ধরা খেয়ে তার নিজের নাম গোপন করেছিলেন।
জানা যায়, রাত ১১টায় টিএসসির কর্মচারীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে ওই বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড টুরিস্ট সোসাইটির অফিসে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা ও লাইট বন্ধ করে দেয়। রাত ১টার দিকে সাংবাদিকরা দরজায় টোকা দিলে তারা ১ মিনিট পর দরজা খুলে।
এদিকে প্রক্টরিয়াল বডি যখন আটককৃত দুজনের পরিচয় জানতে চান তখন তারা দুজনই ভুল পরিচয় দেন। ইমরান শাহরিয়ার নিজের নাম শাহরিয়ার কবির ও নওশীন সায়েরা নিজের নাম আতিকা বিনতে হোসেন বলে উল্লেখ করেন। পরে তাদের আসল পরিচয় উদঘাটন করতে সম্ভব হয় প্রক্টরিয়াল বডি।
তারা জানায় রাত ১১টা বেজে যাওয়ায় মেয়েটি হলে ডুকতে ব্যর্থ হয়ে এখানে আসে। প্রসঙ্গত কোনো নারী শিক্ষার্থী বাসা থেকে হলে ফিরতে বেশি রাত হয়ে গেলে হল প্রভোস্ট/সংশ্লিষ্ট ব্লকের শিক্ষক অথবা প্রক্টরিয়াল বডির সাহায্যে হলে প্রবেশ করতে পারে।
দীর্ঘ রাত পর্যন্ত কক্ষের ভেতর কি করছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান হোসেন শাহরির বলেন, তারা কক্ষের ভেতরে ঘুমাচ্ছিলেন। হল থাকতে কেন কক্ষের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর বাড়ি গাজীপুর।
সেখান থেকে বিশ্বিবিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় রাত সাড়ে এগারোটার দিকে। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় সেখানে ছিলেন। তারা দুজন চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছিলেন। তাদের কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের নিজ নিজ আবাসিক হলে পাঠিয়ে দেন।
দীর্ঘ রাত পর্যন্ত ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষে নারী শিক্ষার্থী ও পুরুষ শিক্ষার্থী অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্যুরিস্ট সোসাইটির চাবি কাদের কাছে থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক্সিকিউটিভ বডির কাছে থাকে। মোট কতটি চাবি রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০-২৫টি।
টিএসসির পরিচালক মহিউজ্জামান বলেন, সংগঠনগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করতে পারে। আমি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। শিক্ষার্থী যদি এইরকম কাজ করে তাহলে তো কারও পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ, সম্প্রতি সিআইডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নফাঁসে জড়িত যে ৮৭জন শিক্ষার্থীর নামে চার্জশিট রয়েছে তার মধ্যে সাফায়াতে নূর সায়ারা নওশীনের নাম রয়েছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.