নিউজ ডেস্ক।।
মানুষ পানির পর সবচেয়ে বেশি পান করে যে পানীয়, তা হলো চা। চা পান না করা পর্যন্ত যেন শরীর ও মন দুটোরই তৃষ্ণা মেটে না অনেকেরই। চা যে হিতকরী পানীয়, তা এখন অনেকেই জেনেছেন। চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও অন্যান্য যৌগ। চায়ের মধ্যে রয়েছে যে পলিফেনোল (ফ্লাভোনলস ও ক্যাটেচিনস), এদের রয়েছে হৃৎসুরক্ষা গুণাগুণ। তবে দুধ চায়ে রয়েছে ক্ষতিকর কিছু উপাদান। দুধের প্রোটিনও একইভাবে চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ওপর বিরুদ্ধপ্রভাব ফেলে। তাই চায়ে দুধ মেশালে চায়ের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই দুধ চা এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।
সাধারণ পানির পরই চা হচ্ছে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত পানীয়। নানা রকমের চা পান করে থাকে বিশ্বের সব অঞ্চলের মানুষ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেবল সর্বাধিক জনপ্রিয়ই নয়, চা একটি অন্যতম স্বাস্থ্যকর পানীয়ও, কেননা এতে যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন আছে তা হূৎপিণ্ড ও রক্তনালি সুস্থ রাখতে অনেকটাই সাহায্য করে।
কিন্তু সাম্প্রতিককালে ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হচ্ছে যে চায়ে দুধ মেশালে এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণাগুণ অনেকটাই বিনষ্ট হয়। কালো চা এবং দুধ চা পান করেন এমন ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে কালো দুধবিহীন বা রং চা (র টি) রক্তনালির জন্য যতটা ইতিবাচক, দুধ চা ততটা নয়। কারণটা সুস্পষ্ট না হলেও ধারণা করা হচ্ছে যে দুধের আমিষ চায়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানের সঙ্গে মিশে একে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।
কোনো কোনো গবেষক বলেন, দাঁতে ক্ষয়, গহ্বর তৈরি হওয়া অনেকটা বাধা পায় চা পানে, রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য হয়। সম্ভবত এর হৃদহিতকরী গুণও রয়েছে।
অনেক দেশে দুধ-চা পান করে মানুষ, আমাদের দেশেও চায়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করেন বেশির ভাগ লোক। কিন্তু ইদানীং গবেষকেরা দেখছেন, চায়ের মধ্যে দুধ মেশালে চায়ের অনেক হিতকরী গুণ আর থাকে না।
ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষকেরা দেখিয়েছেন, ১৬ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক লোক পান করলেন ব্ল্যাক টি (শুধু চা), কেউ পান করলেন চায়ের সঙ্গে স্কিম মিল্ক মিশিয়ে, কেউ পান করলেন শুধু গরম জল। এরপর বিজ্ঞানীরা রক্তনালির কার্যকলাপের ওপর এদের প্রভাব লক্ষ করলেন।
পানির সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেল, ব্ল্যাক টি (শুধু চা, যাকে আমরা র টি বলি) পানে ধমনির কার্যকলাপ বেশ উন্নত হলো। দুধ-চা পান করলে চায়ের হিতকরী প্রভাব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেল।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
শিক্ষাবার্তা ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
