বগুড়ার শেরপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নিয়মনীতির তোয়ক্কা না করে জোরপূর্বক স্থায়ী বরখাস্ত (ইনডেক্স বাতিল) দুই শিক্ষককে স্ব-পদে পদায়ন ও নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের এক মামলায় সর্বোচ্চ অদালত রোববার (২৮ জুলাই) এ নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইনডেক্স বাতিল ও স্থায়ী বরখাস্ত হন প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ শেখ ও সহকারী শিক্ষক আব্দুল মোমিন।
কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ওই বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম মজনু জোরপূর্বক স্ব-পদে বহাল করেন। তা ছাড়া ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া, নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের না জানিয়ে ভুয়া স্বাক্ষর নেয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ পায়।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন দাতা শুভেন্দু লাহিড়ী বাদি হয়ে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও এর কার্যক্রমের স্থগিত চেয়ে নিম্ন আদালতের পর বিগত ১১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের সিভিল রিভিশনের মামলা নং ৩১৫২/১৮ দায়ের করেন। দীর্ঘ কয়েক মাস ওই মামলার শুনানির পর সুপ্রীম কোর্টের আপিল ডিভিশনের বিচারক মো. নুরুজ্জামান ২৮ জুলাই শেরপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি শুভেন্দু লাহিড়ী বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম মজনুর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নির্বাচন না দিয়ে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করায় মামলা দায়ের করি। তারপর ওই মামলার প্রেক্ষিতে এ রায় দেন সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারক।
এখন রায়ের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পন্ন করবেন বলেও জানান তিনি।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
শিক্ষাবার্তা ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টাল
