এইমাত্র পাওয়া

এই সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে: উপদেষ্টা

ঢাকাঃ সীমিত সময়ের মধ্যেও এই সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সমাজে বৈষম্য নিরসন ও সমতা আনয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সীমিত সময়ের মধ্যেও এই সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে সব স্তরের মানুষ শিশু থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পর্যন্ত জ্ঞান, ন্যায় ও নৈতিকতার চর্চায় অংশ নিতে পারে।

তিনি বলেন, এক বছর আগে বাংলাদেশে তরুণরা দেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। সেই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে আমরা সমগ্র জাতি অধিকার বঞ্চিত প্রজা থেকে নতুন করে অধিকার ভোগী নাগরিকে পরিণত হতে পেরেছি।

সি আর আবরার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রকে ব্যক্তি কেন্দ্রিক জনবিচ্ছিন্ন এবং দমনমূলক প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবর্তন করে জনগণের মঙ্গলের জন্য তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত এক সংবেদনশীল ও জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের গুরু দায়িত্ব বর্তমান সরকারের কাছে এসে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ দেশে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে বিশেষ করে শেষ এক দশকে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তারা অবৈধভাবে জনগণের ওপর শাসন চালিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব নাগরিক অধিকার হরণ করেছিল। তারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের সংস্কৃতি চালু করেছিল এবং বছরের পর বছর বিনাবিচারে নাগরিকদের আয়নঘরে বন্দি করেছিল।

‘তারা সংসদ, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করেছিল। একের পর এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রহসন করেছিল। এমনকি শেষ পর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় বাহিনী ব্যবহার করে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল।’ বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, পতিত সরকারের সেই সদস্যদের এবং তাদের সহযোগীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো কঠিন, কিন্তু প্রয়োজনীয় কাজ এ সরকার শুরু করতে পেরেছে। আর সেই নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার একটা বিরাট ভূমিকা রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০৭/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading