নিজস্ব প্রতিবেদক।। অর্থ পাচার বা অর্থশোধন ইংরেজি মানি লন্ডারিং (money laundering) শব্দ হতে এটি নেওয়া হয়েছে। এটি একটি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া না মেনে বিদেশে অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বৈধ বা অবৈধ উপার্জিত অর্থ কিংবা সম্পদকে বৈধ করে নেওয়ার চেষ্টা। অর্থ পাচারকে কেন্দ্র করে দেশে একটি দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে, এ দুষ্টচক্র বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যে যে অবস্থানে আছে সেখানে তাদেরকে মজুরি বা বেতন অত্যন্ত নিম্নমানের প্রদান করে থাকে এবং সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করে সু কৌশলে অর্থপাচার কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে।
২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাফি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা যা ব্যাংকগুলোর দেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ ২০ শতাংশের বেশি।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেশভিত্তিক ভারত ২.৫ শতাংশ,
নেপাল ৩.৭শতাংশ, পাকিস্তান ৮.৪শতাংশ, শ্রীলংকা ১২.৮
শতাংশ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেন ৩০শতাংশ,
ঘানা ২৪ শতাংশ।
সূত্র :ডেইলি স্টার
গত দের দশকে টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্য ছিল বাংলাদেশ। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাব আর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রশ্রয়ে এদেশের টাকা সহজেই পাচার হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। টাকা পাচারের জনপ্রিয় গন্তব্য ছিল সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর, বারমুডা, আরব আমিরাতও প্দ্বীপ পুঞ্জ রাষ্ট্র সমুহে। আর এই পাচারের ৮০ শতাংশ সম্পাদন হয়েছে বাণিজ্যের আড়ালে অর্থনীতিবিদরা মূলত দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, নজর দারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা আর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব ও অসাধু ব্যাংকিং কর্মকর্তাকে দায়ী করেছেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পন্য আমদানি- রপ্তানির আড়ালে কখনো আন্ডার ইন ভয়েস আবার কখনো অভার ইন ভয়েস এর মাধ্যমে সম্পাদন হয়ে থাকে। এই পাচার কার্যক্রমে অসাদু শীর্ষ ব্যবসায়ী থেকে মাজারি স্তরের ব্যবসায়ী আমদানি কারক দুর্নীতিবাজ আমলারা বিভিন্ন প্রজেক্ট এর টাকা মেরে এই কার্যক্রম সম্পাদন করে। তাছাড়া ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কাস্টমস, বন্দরসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগ সাজেশন এ ধরনের অর্থ পাচার কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে।বাংলাদেশের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বিভিন্ন সময় বলেছেন টাকা পাচারের অন্যতম কারণ হল রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রাজনীতিক সদিচ্ছার অভাবে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা সম্ভব ছিল না।
রাজনীতির কারণে এ সকল ঋণ প্রদান করা হয়েছে।জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বর্তমানে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এতে শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ট প্রদান করা হচ্ছে না,
তাই দ্রুত পাচারকৃত অর্থ ফেরত এনে এ সমস্যার সমাধান অনেকাংশে করা সম্ভব।ভবিষ্যতে ঋণ প্রদান করার ক্ষেত্রে খেলাফি ঋণের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক যাবতীয় তথ্য উপাত্ত বিবেচনা করে অগ্রসর হতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন দেশ থেকে অর্থ পাচার হলে বাণিজ্য গতিশীলতা কমে যায়। ফলে আভ্যন্তরীণ সম্পদ হতে আয় বৃদ্ধি করতে নতুন নতুন কর আরোপ করতে হয় ও রাজস্ব আদায় চাপ বাড়াতে হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস এর দাম বৃদ্ধি করতে হয়। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের উপর করের চাপ সৃষ্টি হয়। ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়ে যায়, সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ধনীরা বিভিন্ন কৌশলে ব্যাংক লোন নিয়ে পার হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণের ঘাড়ে সকল চাপ পড়ে।দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি বিদেশি ঋণের উপরে নির্ভরশীলতা বহুলাংশে বেড়ে যায়। এই বিষয়ে সকলকে সচেতন হয়েও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পাচার কার্যক্রম অনেকাংশে প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন দেশ থেকে অর্থ পাচার হলে বাণিজ্য গতিশীলতা কমে যায়। ফলে আভ্যন্তরীণ সম্পদ হতে আয় বৃদ্ধি করতে নতুন নতুন কর আরোপ করতে হয় ও রাজস্ব আদায় চাপ বাড়াতে হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস এর দাম বৃদ্ধি করতে হয়। এতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের উপর করের চাপ সৃষ্টি হয়। ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়ে যায়, সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। ধনীরা বিভিন্ন কৌশলে ব্যাংক লোন নিয়ে পার হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত সাধারণ জনগণের ঘাড়ে সকল চাপ পড়ে।দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সর্বোপরি বিদেশি ঋণের উপরে নির্ভরশীলতা বহুলাংশে বেড়ে যায়। এই বিষয়ে সকলকে সচেতন হয়েও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পাচার কার্যক্রম অনেকাংশে প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষাবার্তা /এ/৩১/০৩/২০২৫
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.