বশেমুরবিপ্রবি দিবস আজ বশেমুরবিপ্রবি

২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি প্রস্তরটি স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় আট বছর পরে ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করে।

এরপর ২০১১ সালে মাত্র ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। নিয়োগ দেয়া হয় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষকদের। পাশাপাশি ২০১৪ সালের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টি পাঁচ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, পাঁচ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, মসজিদসহ ৪০০ আসন বিশিষ্ট দুটি ছাত্র হল এবং একটি ছাত্রী হলের কাজ সম্পন্ন হয়। নিশ্চিত করা হয় আরো প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আটটি অনুষদের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৬০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সম্পন্ন একাডেমিক ভবন-৩, ২৩ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সম্পন্ন ৪০০ আসন বিশিষ্ট দুটি হল যার মধ্যে একটি ছাত্র হল এবং একটি ছাত্রী হল, সিনিয়র শিক্ষকদের জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সম্পন্ন কোয়ার্টার, প্রায় ৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সম্পন্ন কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার, প্রায় ৩৫ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সম্পন্ন অডিটোরিয়াম, প্রায় ১৫ কোটি টাকা নির্মাণব্যয় সম্পন্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স, প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়সম্পন্ন শহীদ মিনার এবং প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়সম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট ও সাবগেটসহ বেশ কিছু প্রকল্প।

এসকল প্রকল্পের প্রথম ফেসের কাজ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সম্পন্ন হলেও অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের উপ-পরিচালক তুহিন মাহমুদ জানিয়েছেন ২০২১ সালের মধ্যেই এসকল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া মাস্টার প্লান অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পের অবশিষ্ট ভবনগুলোর জন্য DPP আনুমানিক ১ হাজার কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.