এইমাত্র পাওয়া

ফাঁকা আসনগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে চায় শাবিপ্রবি

সিলেটঃ গুচ্ছভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও একক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ফাঁকা আসনগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে চায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা রেখে জিএসটি কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর শাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ইউজিসি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফাঁকা আসন দ্রুত পূরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠায়।

‘আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ না করতে জিএসটি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে শাবি। কিন্তু জিএসটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং শাবির অনুরোধকে গুরুত্ব না দিয়ে জিএসটির ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও শিক্ষার্থীর স্বার্থ পরিপন্থি।’

এতে আরও বলা হয়, একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ফোরাম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি কাউন্সিল। শাবির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফাঁকা আসন পূরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যা অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী।

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করাকে শাবি কখনো ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক মনে করে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল চূড়ান্ত ভর্তির আগে জিএসটি থেকে পাঠানো শিক্ষার্থীদের ডাটা থেকে মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করার ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, অপেক্ষমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবেদন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ইউজিসির চিঠিকে আমলে না নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে সরকারি অর্থের অপচয় ও অপেক্ষমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে এ দায়ভার সম্পূর্ণ জিএসটি কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।

এদিকে ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, কয়েক ধাপে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর শাবিতে ১ হাজার ৫৬৬টি আসনের মধ্যে ১ হাজার ৫২৭ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এতে আসন ফাঁকা রয়েছে ৩৯টি। এছাড়া কোটায় ১০৫টি আসনের মধ্যে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/০১/২০২৫


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.