ঢাকাঃ নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে গতকাল বিশ্ববাসী মেতেছিল ভয়ঙ্কর এক খেলায়। বাদ যায়নি রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে গড়ে ওঠা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ফুটেছে পটকা, উড়েছে ফানুস। আকাশ উজ্জ্বল হয়েছে আতশবাজির আলোয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশিক আহমেদ রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থানকারী ছাত্র শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সতর্ক করে হ্যান্ড মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করেন। তিনি ছাত্র-শিক্ষক এবং কর্মচারীদের আতশবাজি ফোটানো, ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেন।
আতশবাজির ক্ষতি থেকে প্রাণী মৃত্যু ও পরিবেশ রক্ষায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত দুইদিন থেকে লিফলেট বিতরণ ও ৩১ ডিসেম্বর রাতে ভিডিও বার্তা ও মাইকিং করে ক্যাম্পাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত অবস্থান নেয়। তারা হলে ফেরার পরক্ষণেই শেকৃবি শিক্ষকদের কোয়ার্টার শাপলা ভবন থেকে আতশবাজিতে কেঁপে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও পাশের কয়েকটি হাসপাতাল। ফলে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের একজন দর্শনার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন আব্বাকে নিয়ে নিউরো সায়েন্সে আছি, একেকজন রোগীর দিকে তাকানো যাচ্ছে না।
এত সতর্কবার্তাপ্রচার হওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক ভবন “শাপলা” থেকে আতশবাজি ফুটেছে কয়েক দফায়। এটা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলগুলোর ছাত্রদের মাঝে গড়ে উঠেছে চাপা ক্ষোভ।
ভবনের সিকিউরিটি গার্ড রাসেল বলেন, ভবনের ১ম ফ্লোরে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছে। আমি খাওয়া সার্ভ করতে ব্যস্ত ছিলাম। উপরে কি হয়েছে জানিনা।
বিজয় ২৪ হলের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুম থেকে শব্দ শুনে ছাদে গেলে কিছুক্ষণ পর আবার শাপলা ভবনের ছাদে কয়েকজন আতশবাজি ফুটান। সাথে সাথে আমরা সেখান থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার করি।
শেকৃবির কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সভ্য এলাকায় অসভ্য কাজ। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য লজ্জার ব্যাপার। বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা ও গবেষণার স্থান। এখানে এমন কর্মকাণ্ড পরিবেশ, প্রাণীকূল ও সবার জন্য ক্ষতিকর। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
শাপলা ভবন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ বলেন, আতশবাজি ফোটানোর সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম নাহ। ছোট বাচ্চারা হয়তো ফুটিয়েছে। পরবর্তীতে এমন যেন না হয় সেজন্য মিটিং বসে সতর্ক করবো।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০১/০১/২০২৫
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.