এইমাত্র পাওয়া

বরগুনায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে ১৫ শিক্ষকের অভিযোগ

বরগুনাঃ বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী মোসাম্মৎ মোস্তাফিজা বেগমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর ১৫ জন শিক্ষক লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল, স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেনটেনেন্সসহ সরকারি বরাদ্দকৃত টাকার বিল-ভাউচার আনতে গেলে হিসাব সহকারী মোসাম্মৎ মোস্তাফিজাকে দিতে হয় তিন-চার হাজার টাকা, না দিলে বিল-ভাউচার হারিয়ে যায় অফিস থেকে। শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের জন্য প্রতি শিক্ষকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগও করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের পেনশনের সময় সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ত্রুটির অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষকদের ঘোরান হিসাব সহকারী মোস্তাফিজা- এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে ওই শিক্ষকদের টাকা দিতে বাধ্য করেন তিনি।

শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান ও মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, মোস্তাফিজা বেগমের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কিছুদিন আগে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু তারপরও তার ওপর নজরদারি নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। শিক্ষক সমাজে প্রশ্ন উঠছে কার ক্ষমতার বলে এমন বেপরোয়া এই হিসাব সহকারী।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিক্ষকদের ভ্রমণ ভাতা আসে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা, সরকারিভাবে বরাদ্দ হলেও মোছাম্মৎ মোস্তাফিজার খামখেয়ালি আর অনিয়মের কারণে এই টাকা ফেরত যায়।

শিক্ষকদের সাথে মোস্তাফিজার অসদাচরণের অভিযোগ পুরনো। বিভিন্ন ভাষায় গালমন্দ করেন তিনি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর চিঠি দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা জেরিনা আক্তার। যার স্মারক নং ৯২০।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজা বলেন, ‘অভিযোগ দিয়েছে শুনছি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আছেন বিষয়টি তারা দেখবে।’

শিক্ষকদের অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘মোসাম্মৎ মোস্তাফিজাও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৮/১২/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.