নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ টেম্পারিং করে অন্যের সনদে নিজের নাম বসিয়ে ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজবিজ্ঞান) আবুল খায়ের। অবশেষে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে যাচাই-বাছাইয়ে ধরা পড়ে জাল-জালিয়াতির ঘটনা।
গত ২৩ অক্টোবর ঝিনাইদহে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরির অভিযোগ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসেন শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলামের নির্দেশে গত ২৯ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের নিয়োগকালীন সব কাগজপত্রসহ তার শিক্ষা নিবন্ধন সনদের কপি চেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে জেলা শিক্ষা অফিসে তলব করা হয়।
প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দীন অভিযুক্ত শিক্ষকের কাগজপত্র জেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন। জেলা শিক্ষা অফিসার কাগজপত্র দেখার পর তার কাছে শিক্ষা নিবন্ধন সনদটি জাল বলে সন্দেহ হয়। এরপর তিনি ওই সনদ যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠান। যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৯ নভেম্বর এনটিআরসিএ থেকে আবুল খায়েরের সনদটি ভুয়া ও জাল উল্লেখ করে সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন-৩) সাইফুল ইসলাম প্রত্যয়নপত্র দেন।
এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে ২০০৮ সালের ৪র্থ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ১১৬১১৫৩০ রোল নম্বর সম্বলিত আবুল খায়েরের দাখিলকৃত প্রত্যয়নপত্রটির সাথে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত ফলাফলের মিল না থাকায় প্রত্যয়নপত্রটি জাল ও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগে জাল নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয় চিঠিতে।
আবুল খায়ের ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিনের সাথে যোগসাজশ করে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ দিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন বলে অভিযোগ আছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৩/১২/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.