ঢাকাঃ শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই ভালো ছিলেন না, সেটা তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু জেন-জি শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো কি না, সেটা এখন পরীক্ষা দিতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটের এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতে ‘মনোজগতের উপনিবেশায়ন ও ভাষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খান।
সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের মানেটা বুঝতে হবে। এই অভ্যুত্থান ইতিমধ্যে পরাজিত হয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের ট্র্যাজেডি। অনেকে মনে করতে পারেন, আমরা এই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করছি।’
সলিমুল্লাহ খান আরও বলেন, ‘ভাষার মধ্যে রাজনীতি আছে। ইংরেজরা তাদের বিভক্তির রাজনীতির মাধ্যমে উপমহাদেশে কেবল হিন্দু–মুসলিমের বিভেদের জন্ম দেয়নি, “বড়লোক” আর “ছোটলোক” হিসেবেও বিভক্তির সৃষ্টি করে গেছে। ইংরেজি হয়েছে আভিজাত্যের পরিচায়ক। ইংরেজরা প্রভু, স্থানীয়রা দাস। কাজেই প্রভুর ভাষা শিখলে অভিজাত, না শিখলে হীন শ্রেণি। সেই হীনম্মন্যতা এখনো আমাদের মনোজগতে রয়ে গেছে। উপনিবেশিকতার থেকে মুক্ত হতে হলে আগে আমাদের মনোজগতের এই ঔপনিবেশিকতা থেকে নিজেদের মুক্ত হতে হবে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তসলিমা। তিনি বলেন, ভাষার ভেতরে উপনিবেশিকতার বিষয়টি অনেক গভীরভাবে কাজ করে। কেবল রাজনৈতিক প্রভাবই নয়; এর লিঙ্গীয় প্রভাবও রয়েছে। যেমন এবারের অভ্যুত্থানকে বলা হচ্ছে ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান’। কিন্তু সবাই স্বীকার করেছেন, এবার বহু ছাত্রী এই আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন; কিন্তু তাদের উল্লেখ নেই।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৭/১১/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.