রাজশাহীঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, এই মুহূর্তে আমরা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। যে ঘটনা ঘটে গেছে তা নৃশংসতা। কিভাবে ঠাণ্ডা মাথায় মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং এর যে ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে রাষ্ট্র জুড়ে এটা আমাদের ব্যথিত করেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের বিক্ষুব্ধ করেছে। শিক্ষার্থীরা ন্যায়ের পথে আছে। আশা করি পুরোটা জীবন তারা ন্যায়ের পথে অতিবাহিত করবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের কথা বলতে গেলে সবার আগে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলতে হয়। মুক্তিযুদ্ধ পার হয়ে গেছে। এখন সেই ৭১-এ ফিরে গিয়ে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একটা কথা খুব পরিষ্কার করে মনে রাখতে হবে যারা এই ন্যায়ের পক্ষে, ন্যায্যতার পক্ষে, অধিকারের পক্ষে তারা সবাই আজকের দিনের মুক্তিযোদ্ধা। তোমরা সবাই এই প্রজন্মের, এই সময়কার মুক্তিযোদ্ধা। আরও একটা জিনিস মনে রাখবে, যারা মানুষের অধিকার হরণ করে, যাদের কাছে মানুষের রক্তের দাম নেই, যারা ন্যায় বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে পারে না, যাদের সাহস নেই, সত্যি কথা বলতে পারে না তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা যেকোনো ধরনের চেতনাবাজি একেবারে জঘন্য শোনায়। এই চেতনাবাজি বন্ধ হোক এবং প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যারা আমি চাই আগামী দিনে রাষ্ট্র তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হোক।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজীব নয় দফা দাবিসহ তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা শান্ত ছিলাম। আমাদের ভাইদের বুকে গুলি চালিয়েছে। আমরা সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছি। সারা দেশের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রজাতন্ত্রের চাকর, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে। কিন্তু শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের টাকায় কেনা গুলি আমাদের ছাত্রদের বুকে চালিয়েছে। এসবের প্রতিবাদে আমরা আজও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।’
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.