এইমাত্র পাওয়া

আগামী বাজেটে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো সম্ভব হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো জরুরি। তবে চলতি বাজেটে আমরা সেটি করতে পারিনি। আশা করছি আগামী বাজেটে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে নৈপুণ্য অ্যাপ, জাতীয় পাঠ্যক্রম পোর্টাল ও বিষয়ভিত্তিক অনলাইন ট্রেনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো প্রয়োজন। তবে আমরা এই বাজেটে সেটা অন্তর্ভুক্ত করতে পারিনি। আশা করছি আগামী বাজেটে এটা করতে পারবো। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি করলে শিক্ষকদের বেতন সহজেই বাড়ানো যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের পুরস্কার দিতে শিগগিরই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। সারা দেশের শিক্ষকরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে৷ প্রতিযোগিতাটি হবে- শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের কত ভালো এবং সহজভাবে পাঠদান করতে পারেন তার ওপর। শিক্ষকরা পাঠদানের ভিডিও করে সেটি জমা দেবেন।

মূল্যায়নের উত্তর সোশাল মিডিয়ায়

স্কুল শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নির্দেশনার উত্তর সোশাল মিডিয়ায় মূল্যায়নের আগের রাতে আসছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বলেছি যে সমাধান দিয়ে দিলেই যে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা মূল্যায়ন করতে পারবো না তা নয়। সমাধান দিয়ে দেওয়ার মধ্যে মার্ক পেয়ে যাওয়ার কোনও বিষয় নেই। অনেক ক্ষেত্রেই ওপেন বুক টেস্ট। আমরা চাচ্ছি, প্রশ্নবিদ্ধ না হোক। প্রশ্নবিদ্ধ না হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে এই কাজ না করে সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুননাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. মো. ফরিদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক আন্দোলন নিয়েও কথা বলবেন না মন্ত্রী

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আন্দোলন নিয়েও কথা বলতে চান না শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যেটি সরকারের সর্বজনীন একটি সিদ্ধান্ত সেটার বিষয়ে আলাদা করে মন্ত্রণালয় বা শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমি মন্তব্য করবো না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের আজকের যে বেতন-ভাতা তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। আমি আবারও বলবো আস্থাশীল থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন (শিক্ষায়), এই বিনিয়োগ এখন পর্যন্ত যা বেড়েছে, আগামীতেও বাড়বে। শিক্ষকদের সম্মানী ও প্রাপ্য বাড়তে থাকবে।

তিনি বলেন, ১ জুলাইয়ের পর থেকে যে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করবেন, স্বায়ত্তশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যারা যোগদান করবেন, সে বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা আছে। মন্ত্রণালয়ের যে নির্দশনা সেটা সরকারের সার্বিক একটি নির্দেশনা। যেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারের একটি অংশ, সেখানে সরকারের সার্বিক নির্দেশনা, সেটার বিষয়ে আলাদা করে মন্তব্য করবো না আমি। সেটি সরকারের সার্বিক ও নীতিনির্ধারণী বিষয়। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমি মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য। যেটি সর্বজনীন একটি সিদ্ধান্ত, সেটার বিষয়ে আলাদা করে মন্ত্রণালয় বা শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে আমার বক্তব্য নেই।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মশিউজ্জামান।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৭/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading