গোপালগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অর্থদণ্ডসহ চার শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য ঘটনায় আরো দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রক্টরকে গালামন্দ, মারামারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত একাধিক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ঐ বিবৃতিসমূহে জানানো হয়, শৃঙ্খলা সভার ২নং বোর্ড অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার জন্য বিএমবি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের উৎসব কুমার গাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দফতরের পরিচালক ড. শরাফত আলীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে আগামী পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অন্যদিকে গত ১০ জুন শৃঙ্খলা কমিটির আলোচ্য সভা-১ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লাকে ৪ সেমিস্টার বহিষ্কারসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও একইদিনে আলোচ্য সভা-৪ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিনশেডের একটি কক্ষের ভাগাভাগির ঘটনায় ভাঙচুর ও প্রক্টরকে গালাগাল করায় ডিবেটিং সোসাইটির আরো দুই শিক্ষার্থীকে অর্থদণ্ড ও নানা বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এর মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমানকে ২ সেমিস্টার বহিষ্কারসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা, আইন বিভাগ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জাকারিয়াকে দুই হাজার টাকা জরিমানাসহ এক সেমিস্টার বহিষ্কার, আইন বিভাগ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমন হোসেনকে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং আইন বিভাগ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ইজাজুর রহমানের সনদ দুই বছরের জন্য স্থগিত করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা প্রদানের কথা বলা হয়।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিলম্ব হলেও এসব ঘটনার আমরা বিচার করতে পেরেছি। যে কোনো শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমাদের শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, এসব ঘটনার শুরুতেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/১৫/০৬/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.