এইমাত্র পাওয়া

তিন কারণে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ও গবেষণা সুনাম থাকলেও তিন কারণে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে এই প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থান না থাকা হতাশাজনক। এতে আন্তর্জাতিকভাবে এ প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ণ হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছি। সমানে হয়তো সেই সুফল পাব।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ তালিকায় দেশের প্রথম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), দ্বিতীয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল (বুয়েট), তৃতীয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও চতুর্থ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
র‌্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, একাডেমিক খ্যাতি, চাকরির বাজারে সুনাম, আন্তর্জাতিক গবেষণা নেটওয়ার্ক ও কর্মসংস্থানে অন্যদের থেকে শতকরা কয়েকগুণ পিছিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এসব সূচকে রাবির অবস্থান যথাক্রমে ১০%, ৯.৮%,১৬.৪% ও ৩.৭%। অন্যদিকে ঢাবি যথাক্রমে ২৩%,৪৫.৬,৫২% ও ৯৩.৭%। এছাড়া বুয়েট ও নর্থ সাউথ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও কয়েকগুণ এগিয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কোন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন নেই। ফলে চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীর অবস্থান সম্পর্কিত তেমন কোন তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। এছাড়া দীর্ঘদিন নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত যথেষ্ট কম। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা ও ব্যবসা অনুষদে গবেষণা তুলনামূলক অনেক কম। এসব গবেষণায় আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং কম। অধিকাংশ গবেষণাই বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের জার্নালে প্রকাশিত হয়। ফলে র‌্যাঙ্কিংয়ে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং ও শিক্ষক-প্রতি গবেষণা-উদ্বৃতি পয়েন্ট কমে যাচ্ছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী নেই বললেই চলে। যারা আসছেন যথাযথ পরিবেশের অভাবে তাদের অধিকাংশও পাঠ চুকিয়ে যেতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্রসের পরিচালক ড. আজিজুর রহমান বলেন, র‌্যাঙ্কিং নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা কিউএস এবং টাইমস হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়ছি। তবে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য না থাকায় র‌্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্নাঙ্গ তথ্য যথাসময়ে জমা দিতে পারছি না। ফলে কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে।

শিক্ষাবার্তা/জামান/০৭/০৬/২৪ 


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading