ঢাকাঃ পার্থক্য ১০ শতাংশ বেশি হলে সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। বাংলাদেশেও এমন আইন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
মঙ্গলবার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে ওঠা অভিযোগের শুনানিতে এ প্রসঙ্গ আনেন বিচারপতি।
বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ।
এ সময় বেনজীর আহমেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন ও মনোজ কুমার ভৌমিক।
শুনানির সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘ভারতে পাবলিক সার্ভিস হোল্ডারদের (সরকারি চাকরিজীবী) জন্য সম্পদ বিবরণী আইন আছে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় সম্পদ কত ছিল, আর অবসরে যাওয়ার সময় কত, তার বিবরণী দিতে হয়। অবসরে যাওয়ার সময় সম্পদের পার্থক্য ১০ শতাংশের বেশি হলেই মামলা হয়। এ ধরনের সিস্টেম আমাদের দেশেও করা দরকার। নইলে অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন বা দুর্নীতি–কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।’
হাইকোর্ট বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে বেড়ালে হবে না। আমাদের চোখ খোলা রাখতে হবে। আপনাদের শুধু মামলা করলেই চলবে না। রাষ্ট্রের স্বার্থ আপনাদের দেখতে হবে। আমরা চাই দেশ দুর্নীতিমুক্ত হোক। কেউ অন্যায় করে যাতে পার পেতে না পারে।’
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত রোববার রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান। এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধান করতে ৪ এপ্রিল দুদক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে সাড়া না পেয়ে ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন রিগ্যান। এরপরও সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল রিট করেন তিনি। যা আজ শুনানিতে ওঠে।
গত রোববার বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৪/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.