নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। তবে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আদেশটি প্রকাশ হয় সোমবার দুপুরে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, এ বিভাগের স্মারক অনুসারে মো. আলী আকবর খানকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
এ অবস্থায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত মো. আলী আকবর খানকে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ২১ এপ্রিল অপরাহ্নে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে নির্দেশক্রমে অবমুক্ত করা হলো।
এর আগে রবিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, প্রয়োজনে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এখন পর্যন্ত কাউকে ছাড় দিইনি। সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যত বড় রাঘববোয়াল জড়িত থাকুক তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের তথ্য-উপাত্তে যদি চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করব। যেকোনো সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ডাকব।”
পরে রাতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “সনদ জালিয়াতি নিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার প্রক্রিয়া চলছে। তাকে ওএসডি করে অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হবে। তার স্থলে কারিগরি বোর্ডেরই আরেক কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
গত ১ এপ্রিল সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বোর্ড চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের নাম উঠে এলে শনিবার তাকেও গ্রেপ্তার করে ডিবি। রবিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২২/০৪/২০২৪