নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ওয়ার্কার ভিসা (এইডব্লিউভি) স্কিমের নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে নিউজিল্যান্ড সরকার। মূলত বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে দেশটি। নিউজিল্যান্ডের এই ভিসার নিয়মে আসা পরিবর্তন বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বড় ধাক্কা বলে বিবেচিত হতে পারে।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন মন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অস্থিতিশীল’ অভিবাসনের জন্য চাকরির ভিসার নিয়ম কঠিন করছে নিউজিল্যান্ড। গতবছর নিউজিল্যান্ডে অভিবাসন প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার পর দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুধু গত বছরই প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করে। বর্তমানে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫৩ লাখ। গত কয়েক বছরে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীর আগমনে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয় দেশটিতে।
এইডব্লিউভি স্কিম ভিসার নিয়মে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে:
নতুন পরিবর্তনের আওতায় চার ও পাঁচ লেভেলে কর্মরত কর্মীদের জন্য ন্যূনতম ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে আইইএলটিএস এ সর্বনিম্ন ৪.০ থাকতে হবে। কম দক্ষ পদের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া হবে না। যারা ভিসা চাইছেন তাদের এখন বেশিরভাগ কাজের জন্য ন্যূনতম দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে।
এ ছাড়া স্থানীয় নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে কম দক্ষতার চাকরিগুলো প্রথমে স্থানীয়দের দিতে হবে তারপর বিদেশিদের। এতে ভিসার মেয়াদ পাঁচ থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি স্বীকৃতি বিভাগও বিলুপ্ত করা হবে। বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই স্থানীয়দের দিকে তাকিয়ে কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
নতুন এই ভিসানীতি পরিবর্তনের পরে, অনেকটাই স্পষ্ট যে নিউজিল্যান্ড বিদেশিদের তুলনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে চাইছে।
নিউজিল্যান্ডের পাশাপাশি প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়াতেও অভিবাসী আগমনের হার বেড়েছে। বাধ্য হয়ে আগামী দুই বছরে অভিবাসী নেওয়ার পরিমাণ অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/১৩/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.