ঢাকাঃ প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা প্রমাণের পরও অধ্যক্ষ পদ ছাড়ছেন না রাজধানীর এক কলেজের শিক্ষক। তাঁর কারণে বেতন আটকে আছে অন্য শিক্ষকদের, এমন অবস্থা রাজধানীর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের। এমনকি অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনাও মানা হচ্ছে না। অধিদপ্তর বলছে, এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর শেরে বাংলা রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের চাকরি শেষ হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে। এর পর তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ থেকে অধ্যক্ষ পদে পাঁচ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সেটি বাতিল করে দেয়।
কিন্তু অধ্যক্ষ পদে আব্দুল আলীম এখনও দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি শিক্ষাবোর্ড থেকে ওই কলেজের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হলেও তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন না। ফলে এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও বেতন পাচ্ছেন না কলেজের শিক্ষকেরা।
অন্যদিকে, কলেজের ২৩টি দোকান রয়েছে। সেই দোকানের ভাড়া নিয়েও নয়-ছয়ের অভিযোগও আছে আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।
কলেজের এক শিক্ষক জানান, এমপিওভুক্ত হওয়ার পরও কলেজের ১১ জন শিক্ষক ১৪ থেকে ১৫ মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না।
এদিকে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছিল। আড়াই মাস জেলেও ছিলেন তিনি। এমনকি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদনে ওই সময়কার প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা হিসেবে তাঁকে চিহ্নিতও করা হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক জানান, আদালতের আদেশ নিয়ে তিনি চেয়ারে আছেন।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এই শিক্ষকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, এই শিক্ষকের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যদি কেউ কোনো আবেদন করে, সেটির যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।
এদিকে গত জানুয়ারিতে শৃঙ্খলা আনতে স্কুল ও কলেজে প্রধান শিক্ষক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ স্থগিত করেছে মাউশি।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৯/০৪/২০২৪
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.