মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে মুখ বেঁধে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানায় মো. ইয়ামিন (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ রমজান থেকে ইতেকাফে না বসার কারণে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্র ইয়ামিনের বাবা দুলারহাট থানায় অভিযোগ করেন। ইয়ামিন চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। আল জামিয়াতুল আরাবিয়া দারুল উলুম হামিউসুন্নাহ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

মাদ্রাসাছাত্র ইয়ামিন ও তার বাবা মোহাম্মদ হোসেনের অভিযোগ, মাদ্রাসার মোহতামিম মুফতি শামিম ওমরাহ হজ করতে সৌদি আরব গেছেন। ইয়ামিনকে ২০ রমজানে ইতেকাফে বসতে বলেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাবিব। ইয়ামিন ইতেকাফে না বসে বাসায় চলে যায়। ২০ রমজান রাতে বাসায় থাকে সে। সোমবার সকালে ইয়ামিন মাদ্রাসায় এলে শিক্ষক হাবিব টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত জখম করেন।

আহতাবস্থায় ইয়ামিনকে সোমবার তারাবির পর থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত মাদ্রাসায় আটকে রাখেন শিক্ষক হাবিব। ইয়ামিনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন বুধবার বিকালে খবর পেয়ে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযোগ করেন দুলারহাট থানায়।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাবিব পলাতক থাকার কারণে তার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মোহতামিম জানান, মাদ্রাসার ছাত্র ইয়ামিনকে মারধর করার কারণে সহকারী শিক্ষক হাবিবকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোহতামিম সৌদি আরব থেকে ওমরাহ হজ করে দেশে এলেই হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুলারহাট থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তদন্ত করে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/জামান/০৪/০৪/২০২৪


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.