পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে কী বললেন মালালা

নিউজ ডেস্ক।।

পাকিস্তানের নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভোটগ্রহণের দুদিন পরও পূর্ণাঙ্গ ফলাফল না আসায় এ বিলম্বকে বিশ্লেষকরা অস্বাভাবিক বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে এ নির্বাচন নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। রোববার (১১ জানুয়ারি) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ নোবেলজয়ী বলেন, পাকিস্তানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন, যেখানে ভোট গণনা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। আমি বরাবরের মতো আজও বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই ভোটারদের সিদ্ধান্তকে অনুগ্রহের সঙ্গে মেনে নিতে হবে।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এ নোবেলজয়ী বলেন, আমি আশা করি আমাদের নির্বাচনী কর্মকর্তারা পাকিস্তানের জনগণের জন্য সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেবেন, চাই তারা সরকারি বা বিরোধী দলেরই হোক না কেন।

এর আগে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দেশটির সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কংগ্রেসম্যান। ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেসম্যানের নাম রোহিত খান্না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন, জনগণের পছন্দকে বানচাল করতেই ভোটে কারচুপি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

এক্সে নিজের ভেরিফায়েড হ্যান্ডেলে রোহিত খান্না লেখেন, ‘পাকিস্তান একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। জনগণের ইচ্ছাকে বদলে দিতে দেশটির নির্বাচনে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ ও কারচুপির প্রমাণ দেখে আমি উদ্বিগ্ন। সব অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না কোনো বিজয়ী প্রার্থীকে স্বীকৃতি দেওয়া।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন।

এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে এখনো অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ইমরান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে পিছিয়ে থাকলেও জোট করে সরকার গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি। দল দুটি নির্বাচনে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.