বরগুনাঃ জেলার আমতলী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক অফিসের অনুমতি ছাড়াই তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তার বেতন-ভাতা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব গুলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ অনুমতি ছাড়াই গত ১০ আগস্ট থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরে গত ৩০ আগস্ট ওই ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পান। পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আবুল কালামের পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কাউকে কিছু না বলে তিনি নিখোঁজ রয়েছে। অফিসে দেওয়া মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। আবার কখনো কখনো রিং বাজলেও তিনি রিসিভ করছেন না। এভাবে বিনা অনুমতিতে নিখোঁজ থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আগস্ট মাস থেকে তার বেতন-ভাতা প্রদান প্রদান বন্ধ করে দেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের মেয়ের জামাই মো. মিলন মিয়া বলেন, আমার শ্বশুর অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পরেছেন। তাই দেনার দায়ে দেউলিয়া হওয়ায় ১০ আগস্ট মাস থেকে আকস্মিক কাউকে কিছু না জানিয়ে পলাতক জীবন-যাপন করছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গুলিশাখালী ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ গত ১০ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, গুলিশাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.