ঢাকাঃ রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিলের বিরুদ্ধে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ১৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটির জবাবে সাতটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকেল ৪টায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মতিঝিলের প্রধান ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা এই ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদস্যদের সম্মানী নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না থাকলেও বাধা-নিষেধ নেই।
গভর্নিং বডি অনুমোদন সাপেক্ষেই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন মামলা পরিচালনায় ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করা হয়।
গাড়ি ক্রয়, মেরামত, জ্বালানি ও পূর্ত কাজে প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমেই করা হয়েছে। হাতে নগদ রেখে প্রায় ৯৮ কোটি টাকা খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যাকাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে লেনদেন না হলেও বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো অর্থ খরচ করা হয়নি।
শিক্ষক নিয়োগে ৭৬ কোটি টাকার অনিয়ম প্রসঙ্গে বলা হয়, প্রতিটি নিয়োগে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষক নিয়োগ বা এমপিও দেওয়া হয়নি।
ডি আই এ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘সরকারি প্রতিবেদন ফেসবুক ও গণমাধ্যমে চলে যাওয়ায় আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদনের তথা ভুল উপস্থাপনের মাধ্যমে দুর্নীতি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিদ্যোৎসাহী সদস্য শহীদুল ইসলাম, অভিভাবক প্রতিনিধি শাহাদাত ঢালী ও প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শেখ।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/১১/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.