আবরার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার কারণে রোববার ও আজ সোমবার আন্দোলন শিথিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ভতিচ্ছু শিক্ষর্থীদের থেকে স্বাক্ষর রেখেছেন বিচারের দাবি জানানোর জন্য।
আগমীকাল (মঙ্গলবার) থেকে আবার পুরোদমে আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আজ সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে অভিভাবকসহ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভিড় জমে। গত কয়েকদিনের থমথমে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার উৎসবের পরিবেশ ফিরে পায়।
এ সময় ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে পালিত এক কর্মসূচিতে আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে আন্দোলনকারীরা।
আর সেই ব্যানারে হাজারও শিক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
এ সময় সাংবাদিকদের কেউ কেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে, তাহলে আন্দোলন কেন? জবাবে তারা জানায়, মেনে নেয়ার ঘোষণা আর বাস্তবায়ন এক নয়। আমরা আশ্বাস পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ, তবে দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
তারা জানান, সবগুলো দাবি বাস্তাবায়ন না হওয়া পর্যণ্ত আন্দোলন চলবে। বুয়েটের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ আন্দোলন করছি আমরা।
এদিকে আবরার হত্যার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন আজ ভর্তি পরীক্ষায় প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছেন বুয়েট অধ্যাপক ভিসি সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর ৯০ শতাংশই পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন। তারা স্বতস্ফুর্তভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
আজ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করে এমন দাবি করেন বুয়েট উপাচার্য।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবি ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষকদের সাংগঠনিক রাজনীতি বন্ধ হয়েছে। আশা করি, দ্রুতই সংকট নিরসন হবে।’
বুয়েটের হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।
এদের মধ্যে ১৩ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। আর ১৯ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম
Subscribe to get the latest posts sent to your email.