এইমাত্র পাওয়া

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎসহ তিনজন

অনলাইন ডেস্ক :

অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পরে চতুর্থ বাঙালি হিসেবে এই সম্মানে ভূষিত হলেন তিনি।

একই সঙ্গে নোবেল সম্মান পেয়েছেন তার স্ত্রী এস্থার ডাফলোও। পুরস্কৃত হলেন অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারও। নোবেল কমিটি জানায়, দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে গবেষণার জন্যেই পুরস্কার দেয়া হল এই ত্রয়ীকে। এস্থার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতির নোবেল প্রাপক। বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি।

ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপক হিসেবে এমআইটি-তে কর্মরত অভিজিৎ বিনায়ক। অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো যুগ্মভাবে ‘আব্দুল লতিফ জামিল প্রভার্টি অ্যাকশান ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন বিশ্বের দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণার জন্যে। তাদের পরীক্ষামূলক গবেষণাকেই সম্মান জানাল নোবেল কমিটি।

১৯৬১ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম অভিজিৎ বিনায়কের। তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন অভিজিৎ। সেই বছরই স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনফরমেশান ইকোনোমিক্স।’

এবার নোবেল পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন তারা। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ‍

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম বাঙালি হলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শুরু হয়েছিল বাঙালির নোবেল যাত্রা। তারপরে সেই ধারা বজায় রেখেছিলেন অমর্ত্য সেন। মহম্মদ ইউনুসের হাত ঘুরে এবার নোবেল ওঠল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এর ফলে চতুর্থ বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্র: আনন্দবাজার, নোবেল প্রাইজ ডটকম, কলকাতা টাইমস


Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Discover more from শিক্ষাবার্তা ডট কম

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading