যেকারণে কণ্ঠশিল্পী মিলার বিচার শুরু
নিউজ ডেস্ক।।
সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারিকে এসিড নিক্ষেপের মামালায় কণ্ঠশিল্পী তাশবিহা বিনতে শহীদ মিলাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। বিচার শুরু হওয়া অপর আসামি হলেন- মিলার সহযোগী পিস জন পিটার হালদার ওরফে কিম।
রোববার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত এ মামলায় আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করেন। শুনানিকালে মিলা ও কিম আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট শাহীনুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এবং বাদীপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপর তাদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। এসময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করলে আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দিবেন বলে জানান। রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
উল্লেখ্য, মিলার সাবেক স্বামী এসএম পারভেজ সানজারীকে এসিড নিক্ষেপের মামলায় তার বাবা এসএম নাসির উদ্দিন উত্তরা পশ্চিম থানায় ২০১৯ সালের ৪ জুন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ মে সংগীতশিল্পী মিলা (৩৩) ও পারভেজ সানজারীর বিবাহ হয়। পরের বছর ৩১ জানুয়ারি আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় তালাক দেন। এরপর থেকে মিলা পারভেজ সানজারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, কুৎসা রটনা করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা সহ বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আসামি তার ফেসবুকে ভিকটিমের বিরুদ্ধে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ ও সম্মানহানীকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করার অভিযোগ এনে আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে।
মামলায় আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে পারভেজ সানজারী বাসা থেকে মোটরসাইকেল যোগে বের হলে রাস্তার মধ্যে কিম মোটর সাইকেলের সামনে এসে পথরোধ করে। পারভেজ সানজারী পথ রোধের কারণ জানতে চাইলে তখন পিটার সাহায্য প্রার্থনা করে। তখন মিলাকে রাস্তার পাশে আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সানজারী।
ভিকটিম বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানত্যাগ করার চেষ্টা করে। ওই সময় কিম তার কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে একটি বোতল বের করে তরল দাহ্য পদার্থ তাকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারে। তখন সানজারীর শরীরের বিভিন্ন অংশসহ দুই হাতের কবজির ওপর থেকে দুই পা, পেট ও পুরুষাঙ্গের অংশ বিশেষ পুড়ে জখম হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মিলা ও কিমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।