বিদ্যুতের দাম ৩ বছরে ১২ দফা বাড়বে
ঢাকাঃ বিদ্যুতে ভর্তুকির চাপ সামলাতে আগামী তিন বছরে মোট ১২ দফা দাম বাড়াবে সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগ ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দলকে এ কথা জানিয়েছে। সংস্থাটির কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদনের শর্ত মোকাবিলায় বিদ্যুতের ভর্তুকি শর্ত পূরণে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
আইএমএফের পরামর্শ মেনে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হলে বিদ্যুতের দর ১২ টাকার ওপরে নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভোক্তাপর্যায়ে গড়ে বিদ্যুতের দাম হবে প্রায় ১৫ টাকা, যা এখন আছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। বিদ্যুৎ খাতে সরকার কীভাবে এবং কতটা ভর্তুকি কমাবে, আইএমএফের প্রতিনিধি দল তা জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, বিদ্যুতের দাম প্রতি বছর চার দফা সমন্বয় করা হবে।
এর আগে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে তিন দফায় বাড়ানো হয়েছিল বিদ্যুতের দাম। গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার ও খুচরায় ১৪ দফা বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম।
এ বছরও ঢাকার বাইরে দিনে গড়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে। এতে দেশের কোনো কোনো গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া কাটাতে হচ্ছে মানুষকে।
আইএমএফ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এ সময় অন্য অনেক শর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুসরণ করা হচ্ছে অন্যতম। ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বাংলাদেশ পেয়েছে। তৃতীয় কিস্তিতে ৭০ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মে মাসে।
আইএমএফের বর্তমান দলটি ২৪ এপ্রিল থেকে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করছে, যা শেষ হবে ৮ মে।
শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/০৪/০৫/২০২৪